ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় অনার্স পড়ুয়া এক কলেজছাত্রী সহপাঠী প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থানের একদিন পর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সকালে দুইপক্ষের সম্মতিতে আট লাখ টাকা কাবিননামায় সহপাঠী প্রেমিক শাকিলের সঙ্গে বিয়ে সম্পাদনের পর অনশন ভাঙেন ওই কলেজছাত্রী।
পরে ওইদিন দুপুরে দক্ষিণ আইচা থানাধীন চরমানিকা রেজিস্ট্রার ইব্রাহিম খলিল এই কাবিননামা সম্পন্ন করেন। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন- ওই কলেজ ছাত্রীর পিতা মোশাররফ মৃধা, প্রেমিক সহপাঠী শাকিলের পিতা আলমগীর হাওলাদার, চরমানিকা ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, চরমানিকা ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জামালসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
উল্লেখ, চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরকচ্ছপিয়া গ্রামের আলমগীর হাওলাদারের ছেলে মো. শাকিলের সঙ্গে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে একই ক্লাসের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। প্রেমের একপর্যায়ে তাদের দেখা-সাক্ষাৎ হতো। বেশ কয়েকবার ওই ছাত্রীকে বাড়িতেও নিয়ে যায় প্রেমিক শাকিল। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে শাকিল।
পরে বৃহস্পতিবার সকালে সহপাঠী প্রেমিক শাকিল হাওলাদার ওই ছাত্রীকে তার বাড়িতে দেখা করতে বললে ওই ছাত্রী তাদের বাসায় গিয়ে তাকে না পেয়ে তার বাবার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাকে পায়। পরে শাকিলের সঙ্গে কথাবার্তার এক পর্যায়ে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পালিয়ে যান শাকিল।
এরপর সহপাঠী শাকিলকে না পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করে ওই ছাত্রী। ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।