বরিশালের মুলাদীতে ভ্যান চুরির অভিযোগ তুলে মো. শামীম আকন নামে এক যুবকের পুরুষাঙ্গ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়াসহ নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সহোদরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাতে মুলাদী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ গলইভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার যুবক মো. শামীম আকন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তিনি ওই গ্রামের মৃত সালাম আকনের ছেলে। তিনি দিনমজুর করে জীবিকা নির্বাহ করেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ভ্যান চুরির অভিযোগ তুলে ওই যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে ভুক্তভোগী যুবকের স্ত্রী রেমিজা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন জানিয়ে ওসি বলেন, মামলায় নামধারী ৪ জন ও অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে তিনজনকে আটক করে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে শুক্রবার (১৬ জুন) জেলে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি মাহবুবুর রহমান।
এদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দিনমজুর শামীম বলেন, স্থানীয় শাহাবুদ্দিনের ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান চুরি হয়েছে। এই জন্য তাকে দায়ী করে শাহাবুদ্দিনের ছোট ছেলে বায়জিদ তাকে কল করে তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়। সেখানে যাওয়ার পর শাহাবুদ্দিনের ঘরে নিয়ে ভ্যান চুরির অভিযোগ বায়জিদ তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আমার চোখের ওপর আঘাত করে। ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে আমার চোখ উঠিয়ে ফেলার চেষ্টা করে। এছাড়াও গাছের সঙ্গে বেঁধে আমাকে বেধড়ক মারধর করে বায়জিদ, তার ভাই মাইনুদ্দিন এবং মনিরসহ আরও ১০/১৫ জন।
ভুক্তভোগী যুবক জানান, এক পর্যায়ে সেখানে থাকা স্থানীয় হালিম হাওলাদারের পায়ে ধরে মিনতি করলেও নির্যাতন
বন্ধ করেনি তারা। এমনকি তার পুরুষাঙ্গ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এসময় তার ডাক-চিৎকারে অজ্ঞাতনামা একজন ৯৯৯-এ কল দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে শাহাবুদ্দিনের তিন ছেলে বায়জিদ, মাইনুদ্দিন, মনিরকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ না আসলে তার চোখ উঠিয়ে ফেলাসহ আরও নির্যাতন করা হতো বলেও অভিযোগ করেন নির্যাতনের শিকার শামীম আকন।