স্টাফ রিপোর্টার.
বরিশাল নগরীর অলিগলি থেকে শুরু করে প্রধান সড়কগুলো গত ক’দিন ধরে ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে। এর দুর্ঘন্ধে পথ চলাও দুস্কর হয়ে পড়েছে। এমনকি ঘরে ঘরে ময়লা জমে আছে। কোথাও আবার বিশ্রী অবস্থার সৃস্টি হয়েছে যে পরিবেশ দুষনে নগরবাসীর জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। বরিশাল সিটি করপোরেশনের বকেয়া বেতনের দাবীতে টানা আন্দোলনের সাথে পরিচ্ছন্ন কর্মীরাও একাতœতা প্রকাশ করায় এ অবস্থার সৃস্টি হয়েছে। বরিশালের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ নগর জুড়ে এমন অসহনীয় পরিবেশ দুষনের আশংকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নগরীর প্রান কেন্দ্র সদর রোডের বিবির পুকুর পাড়ে গত কয়েকদিন ধরে পড়ে আছে ময়লা আবর্জনা। এর ফলে ওই এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে দুর্ঘন্ধ। একই অবস্থা চকবাজার এবং গীর্জামহল্লা ও কাটপট্টি, ফজলুল হক এভিনিউ, বটতলা, নবগ্রাম সড়ক, ফকিরবাড়ি, বিএম কলৈজ সড়ক, বগুড়া রোডের। করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কাজে যোগ না দেয়ায় এসব সড়কের পাশে ময়লা আবর্জনার স্তুপে পরিনত হয়েছে। এদিকে নগরীর বানিজ্যিক এলাকাগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার ভীড় বাড়ায় রাস্তায় ময়লা আবর্জনার কারনে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। নগরীর গীর্জামহল্লা সংলগ্ন প্যারারা রোডের সেঞ্চুরি ফাস্টফুড এন্ড ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের এক স্টাফ জানান, তার দোকানের পাশে আবর্জনার স্তুপ জমে আছে। কয়েকদিন ধরে পরিস্কার না করায় ক্রেতারাও অস্বস্তিতে পড়ছেন। সদর রোডের এক ব্যবসায়ী জানান, বিসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মীরা সড়ক ঝাড়– দিচ্ছে না এবং ময়লা আবর্জনা অপসারন করছে না। সড়কের কিছুটা পর পর ময়লা জমে থাকায় তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে এখনকার পরিবেশ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এদিকে বিভিন্ন বাসা বাড়ি ও হোটেলের ময়লা পরিচ্ছন্ন কর্মীরা অপসারন না করায় তা রাস্তায় ফেলায় দুর্গন্ধে নাক চেপে চলতে হচ্ছে পথচারীদের। নগরীর বটতলা বাজার, চৌমাথা বাজার, বাংলা বাজার, পোর্টরোড, বড় বাজারে ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে। এসব বাজারে দুর্ঘন্ধে মানুষের ভেতরে ঢোকা দুস্কর হয়েপড়েছে। জানতে চাইলে নগরীর ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম জাকির হোসেন বলেন, গত ৪/৫দিন ধরে তার ওয়ার্ডের বাসা বাড়ির ময়লা অপসারিত হচ্ছে না। তিনি ব্যক্তিগতভাবে এগুলো অপসরনের চিন্তাভাবনা করছেন। কিন্তু এভাবে নগরী পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সিটি মেয়র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবী অনেকাংশেই মেনে নিয়েছেন। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে একটি অংশ আলোচনায় আসছে না। এঅবস্থায় তারা অসহয় হয়ে পড়েছেন। বকেয়া বেতনের দাবীতে আন্দোলনের অন্যতম নেতা বিসিসি’র পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা দিপক লাল মৃধা জানান, নগরের ৩০টি ওয়ার্ড থেকে প্রতিদিন গড়ে এক লাখ টন বর্জ্য ডাম্পিং স্পটে নিয়ে যায়। তবে চলমান আন্দোলনের কারনে গত কয়েকদিন ধরে নগরের ময়লা অপসারণ করা হয়নি। এতে জনগন দুর্ভোগে পড়লেও তাদের কিছুই করার নেই। এব্যপারে নদী খাল বাচাঁও আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, ময়লা আবর্জনার দুর্ঘন্ধে পরিবেশ দুষনে নগরবাসীর জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। রাস্তায় হাটা যাচ্ছে না। নগরবাসীর ঘরে ঘরে ময়লা জমেছে। এভাবে পরিবেশ দুষন অব্যাহত থাকলে মারাতœক স্বাস্থ্য ঝুকি দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, জনগনকে জিম্মী করে কোন পক্ষই অনড় থাকতে পারে না। সমস্যা সমাধানে সিটি মেয়র ও কর্মকর্তা-কর্মচারীতে অনতিবিলম্বে সমঝোতায় আসা দরকার।