বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ধরেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় ধরেছেন জাপা প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস।
এছাড়া ইসলামী আন্দোলনের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম ও জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু ৬ লাখ করে এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন ও আলী হোসেন হাওলাদার ৫ লাখ টাকা করে নির্বাচনী খরচের সম্ভাব্য ব্যয় বিবরণী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত কারও সহযোগিতা ছাড়া নিজস্ব আয়ে তার নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করার কথা উল্লেখ করেছেন। যার মধ্যে প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়, ওয়ার্ড কার্যালয়, অফিস আপ্যায়ন, ঘরোয়া বৈঠক ও সভা, ভোটার স্লিপ, সিডি, যাতায়াত, মাইকিং, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, ডিজিটাল ব্যানার এবং পোস্টার খরচের কথা উল্লেখ রয়েছে।
জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সম্ভাব্য খরচ দেখিয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কারও সহযোগিতা ছাড়াই প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়, ওয়ার্ড কার্যালয়, অফিস আপ্যায়ন, ঘরোয়া বৈঠক ও সভা, ভোটার স্লিপ, মাইকিং, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, ডিজিটাল ব্যানার এবং পোস্টার ছাপানোয় এই অর্থ সম্ভাব্য খরচ দেখিয়েছেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলনের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম তার নির্বাচনে সম্ভাব্য খরচ ধরেছেন ৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে নিজের আয় ২ লাখ টাকা, বড় ভাই ও ইসলামী আন্দোলনের আমীর পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের দান বাবদ ৩ লাখ এবং আবদুল মালেক কাফরা নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লাখ টাকা দান হিসেবে প্রাপ্ত বলে সম্ভাব্য হিসেব বিবরণীতে উল্লেখ আছে।
জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু ৬ লাখ টাকা সম্ভাব্য নির্বাচনী ব্যয় ধরেছেন। নিজের আয় থেকে ৪ লাখ টাকা এবং স্ত্রী নাসরিন পারভীনের কাছ থেকে ধার বাবদ প্রাপ্ত ২ লাখ টাকা ব্যয় করবেন। জাকের পার্টির সদস্যরা স্বেচ্ছায় অনুদান দিলে আরও এক লাখ টাকা খরচ করবেন বলে সম্ভাব্য ব্যয় বিবরণীতে উল্লেখ আছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন এবং আলী হোসেন হাওলাদার নিজ ব্যবসায়ীক আয় থেকে ৫ লাখ টাকা করে তাদের নির্বাচনে খরচ করবেন বলে সম্ভাব্য ব্যয় বিবরণীতে উল্লেখ রয়েছে।
বিসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির সোমবার দুপুরে বলেন, প্রার্থীরা কত টাকা খরচ করবেন এবং কোন উৎস্য থেকে টাকা আসবে, তার একটা ধারণা পাওয়া যায় সম্ভাব্য ব্যয় বিবরণীতে। নির্বাচন শেষে সব প্রার্থী তাদের পূর্ণাঙ্গ খরচের হিসেব হলফনামা আকারে জমা দেবেন।