মোঃ আসাদুজ্জামান.
টেক রির্পোটার.
মোবাইল কিংবা কম্পিউটার দিয়ে অনলাইনে সার্স করলেই পাওয়া যায় পর্নোগ্রাফি। কিন্তু বিজ্ঞানীদের মতে পর্ন হতে পারে স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। ব্রিটেনের একজন সাইকোথেরাপিস্ট এর মতে কমবয়সী যুবক বা তরুণরা প্রচুর পরিমাণে অনলাইন পর্নোগ্রাফি দেখে তাদের যৌন স্বাস্থ্যের অপূরণীয় ক্ষতি করে ফেলছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এখন হার্ডকোর অনলাইন পর্নোগ্রাফির সঙ্গে প্রথম পরিচয়টা ঘটছে অনেক কম বয়সেই। কমতে কমতে সেটা এখন দশ-এগারো বছরে এসে ঠেকেছে। নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটি হসপিটালের অ্যাঞ্জেলা গ্রেগরি জানাচ্ছেন, আঠারো থেকে পঁচিশ বছর বয়সী পুরুষরা এখন এমন সব গুরুতর সমস্যা নিয়ে তাদের কাছে আসছেন, যা মাত্র বছরদশেক আগেও এত কমবয়সী পুরুষদের মধ্যে ছিল একেবারেই বিরল। আর এর মূলে আছে এন্তার পর্নোগ্রাফি – যার প্রভাবও হচ্ছে সুদূরপ্রসারী। ড: গ্রেগরির কথায়, ”কেউ যদি নিজেকে এমনভাবে কন্ডিশন করে ফেলে যে মানসিকভাবে অত্যন্ত উত্তেজক সামগ্রী না-পেলে তার যৌন চেতনা জাগে না, তাহলে নিজের যৌনসঙ্গীর সঙ্গে মিলনের সময় তার পক্ষে সাড়া দেওয়াটা খুব মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। কয়েকজন পুরুষের ক্ষেত্রে তো কোনও সম্পর্ক গড়ে তোলাই কঠিন হয়ে যায় – কারণ তারা সব সময় নতুন কোনও যৌন অভিজ্ঞতা বা যৌন উত্তেজনার সন্ধান করতে থাকেন”। আর যেহেতু এখন খুব কম বয়সেই বাচ্চারা অনলাইন পর্নোগ্রাফির নাগাল পেয়ে যায় – সেটা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও চরম ক্ষতি ডেকে আনে – বলছেন অ্যাঞ্জেলা গ্রেগরি। তার কথায়, ”এখন হার্ডকোর অনলাইন পর্নোগ্রাফির সঙ্গে প্রথম পরিচয়টা ঘটছে অনেক কম বয়সে – কমতে কমতে সেটা এখন দশ-এগারো বছরে এসে ঠেকেছে। মানুষ যখন নিজের পর্নোগ্রাফি দেখা কিছুতেই ঠেকাতে পারছে না, তখন সেটা জটিল মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করছে। নিজের চেহারাটা ওই পর্নোগ্রাফির নিরিখে দেখার মানসিকতা তৈরি হচ্ছে – তরুণরা নিজেদেরকে বিচার করছে ওই হার্ডকোর পর্নোগ্রাফির দৃষ্টিতে, তারা নিজেরা ঠিক সেরকম হয়ে উঠতে চাইছে”। বিটিআরসির তথ্য মতে, দেশে ৫ কোটি ৮৩ লাখের বেশি মোবাইল ফোন থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়৷ ফলে মোবাইল পর্নোগ্রাফি বাংলাদেশে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ অনলাইন পর্নোগ্রাফি তাই হতে পারে মানসিক ও স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতি।