ঢাকা ও বরিশাল নৌরুটে চলাচলকারী ঈদ যাত্রীদের বরণ করতে নানা ধরনের প্রস্তুতি চলছে বরিশাল নদী বন্দরে। এর মধ্যে পন্টুনগুলোর ভাঙাচোরা অংশের ঝালাই ও রঙের আঁচড়ে নতুন রূপে চলছে সাজসজ্জার কাজ। এর বিপরীতে লঞ্চগুলো ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করলেও ভিড় নেই কোনো কাউন্টারে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল নদী বন্দর ও বেশকয়েকটি লঞ্চের কাউন্টার ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের বরণে পন্টুনগুলোর ভাঙাচোরা অংশের মেরামত কাজ করছেন শ্রমিকরা। কেউ কেউ আবার করছে রঙের কাজ। সবমিলিয়ে নদী বন্দরের পন্টুনগুলো ঢেলে সাজাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতেই পন্টুনে মেরামত ও সাজসজ্জার কাজ চলছে। এছাড়া ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন।
এদিকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষ আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করলেও নগরীর অধিকাংশ টিকিট কাউন্টারগুলোই দেখা গেছে ফাঁকা।
বরিশাল নগরীর বেশকয়েকটি লঞ্চের কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীর চাপ না থাকায় অধিকাংশ কাউন্টারের স্টাফরা অলস সময় পার করছেন। তারা জানান, পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকেই যাত্রী খরায় ভুগছে লঞ্চগুলো। পাল্টে গেছে সেই চিরচেনা রূপ।
এক বছর আগেও ভিড়, ঝক্কিঝামেলা এড়াতে, আরামে যাতায়াতে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ আগে ঢাকা থেকে যেতে নদীপথকেই বেছে নিতে। তবে পদ্মা সেতু হওয়ায় বদলে গেছে পরিস্থিতি। লঞ্চের আগাম টিকিট বিক্রি চললেও নেই চিরচেনা সেই যাত্রীর চাপ।
কাউন্টার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে ৯ এপ্রিল থেকে। তবে শুরুতে কোনো লোকজন না এলেও এখন ঈদের আগ মুহূর্তের টিকিটের জন্য লোকজন আসছে।
সুন্দরবন লঞ্চের ম্যানেজার শাকিল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ায় এ বছর আর ভিড় দেখা যাচ্ছে না লঞ্চের টিকিটের জন্য। তিন দিন হয়ে গেছে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করেছি। কিন্তু যাত্রী মিলছে।
এদিকে আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি চলছে সুরভী লঞ্চে। সুরভি লঞ্চের বরিশাল কাউন্টারের ম্যানেজার ফারহান বলেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে আগে আসবে সেই আগে টিকিট পাবেন। তবে এ বছর যাত্রীদের তেমন একটা চাপ না থাকায় লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস রাখা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপ-পরিচালক ও বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাড়তি মুনফার লোভে স্পেশাল সার্ভিস বন্ধ রাখা যাবে না। যাত্রীচাপ বাড়লে তাৎক্ষণিক ঈদের বিশেষ সার্ভিস চালু করবে বিআইডব্লিউটিএ।