বরিশাল নগরীতে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় গণধর্ষন করে নাবালিকা গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্ঠার ঘঠনায় স্বামি মোঃ রাকিব হোসেন ও রাকিবের ভগ্নিপতি রাজিব হাওলাদার সহ এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবীেেত বিক্ষোভ কেের পরিবারের সদস্যরা ।
আজ সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে সদরেেরাডস্থ অশ্বিনী কুমার টাউন হল সম্মুখ সড়েেক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মেয়েকে হত্যা চেষ্ঠাকারীদের বিচারের দাবী কেের বক্তব্য রাখেন বাবা ও মামলার বাদী রিপন হাওলাদার,ফুফা আব্দুর রাজ্জাক মিয়া,চাচা রাকিব হাওলাদার,ভগ্নিপতি মোঃ রুহুল আমিন সহ এলাকাবাসী।
মানবন্ধনে জান্নাতুলের বাবা রিপন জানান, আমরা ওইদিন রাতে জামাই রাকিব, তার বাবা ও মাকে পুলিশের হাতে তুলে দেই, তাদের তিনজনের নামেই আমরা মামলা করার কথা জানাই কিন্তু পুলিশ পরের দিন শুধু রাকিবকে রেখে তার বাবা-মাকে ছেড়ে দিছে, এটা কেমন বিচার? আমরা গরিব তাই কি বিচার পাবো না?
জান্নাতুলের স্বজনরা জানান, জান্নাতুল তার নিজের মুখে শিকার করেছেন স্বামী, শশুড়, শাশুড়ি, ননদ ও নদরের জামাই তাকে নির্যাতন করেছেন, নির্যাতনে মেয়েটা এখন পঙ্গু। আমরা গরীব মানুষ তাই হয়তো থানা পুলিশ আমাদের সাথে এমন করলো, আসামী ধরে দেওয়ার পরেও ছেড়ে দিলো! আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বরিশালের মেয়র ও পুলিশ কমিশনারের কাছে এর উপযুক্ত বিচারের দাবী জানাই।
উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নগরীর রুপাতলী হাউজিং এলাকার ২২ নম্বর সড়কের সারা-জারা ভবনে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌসি নগরীর রুপাতলী শের-ই বাংলা সড়কের দিনমজুর নির্মান শ্রমিক রিপন হাওলাদারের মেয়ে।
ওই গৃহবধূ মা নূপুর বেগম জানান, তার মেয়ে রুপাতলী এলাকার এ ওয়াহেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সাত মাস আগে রুপাতলী ভাসানী সড়কের বাসিন্দা অটোচালক রাকিব হোসেনের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে তার মেয়ে। পরে মেয়ে
তিনি আরো বলেন, এরপর থেকে মেয়ে ভাসানী সড়কের স্বামীর বাসায় থাকতো। দুই মাস আগে মেয়েকে বাসায় দিয়ে যায় জামাই রাকিব। তখন বলে দুই লাখ টাকার ফার্নিচার দিয়ে মেয়েকে পাঠিয়ে দেবেন। আমাদের সামর্থ্য না থাকায় মেয়েকে না পাঠানোর সিদ্বান্ত নেই। কিন্তু কয়েকদিন আগে আবারো জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে যায় মেয়ে। এরপর আর খোঁজ নেইনি। বৃহস্পতিবার রাতে এক লোক আমাকে হাসপাতালে আসতে বলেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী বলেন, মেয়েটি সুস্থ না হলে কি ঘটনা ঘটেছিল বলতে পারবো না। পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মামলা করা হলে আমরা মেয়ের স্বামি অভিযুক্ত মোঃ রাকিবকে গ্রেফতার করেছি।
এবিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, আমি ছুটিতে ছিলাম বিষয়টি জানা নেই, যদি আরও কেউ জড়িত থাকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।