র্যাবের হাতে গ্রেফতার এক নারীর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রোববার (২৬ মার্চ) বিকেলে নওগাঁর কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
মৃত ওই নারীর নাম সুলতানা জেসমিন (৩৮)। তিনি নওগাঁ সদর হাজী ম্যানশন এলাকার মৃত মনোয়ার হোসেনের মেয়ে।
সুলতানা সদর উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন।
বুধবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফ এম শামীম আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন জানান, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকারের পরিচালক মো. এনামুল হকের কিছু ছবি নকল করে ওই নারী প্রতারণা করছিলেন। তিনি কয়েকজনকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেবেন বলে প্রতারণা করেন। এ ঘটনার পর এনামুল হক থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ছায়া তদন্তে ওই নারীকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতাহাল প্রবিবেদন করা হয়েছে। রামেকের চিকিৎসক ময়নাতদন্ত করেছেন। এ ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত কিছু বলতে পারছি না। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই সব বোঝা যাবে।’
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, ওই নারীর মাথায় একটি ছোট লাল দাগ আছে। সিটিস্ক্যান করে দেখা যায়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণও হয়েছে। এছাড়া শরীরে অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
রোববার দুপুরে ওই নারীর ভাই সুলতান মাহমুদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা লাশ পেয়ে বিকেলে দাফন করেছি। কিন্তু কীভাবে মারা গেছে এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমরা কিছু বলতেও চাই না।’
এ বিষয়ে জানতে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ারকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।