সোমবার , ২১ নভেম্বর ২০১৬ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি- শেখ হাসিনা

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
নভেম্বর ২১, ২০১৬ ৭:৪৪ অপরাহ্ণ

 রিপোর্ট : জাকারিয়া আলম দিপু.

আজ ঢাকা সেনানিবাসে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন এবং এই বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণে কাজ করেছে।তাঁর দল আওয়ামী লীগ কখনোই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহার করেনি। বরং এই বাহিনীকে শক্তিশালী, সুশৃঙ্খল ও মর্যাদাপূর্ণ একটি বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। সশস্ত্র বাহিনীকে কখনও আমাদের ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করিনি।মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জাতির অহংকার।আমরা চেয়েছি শান্তি ও নিরাপত্তা স্থাপন করে একে একটি সুন্দর সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে এবং এই সশস্ত্র বাহিনী যেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন হয়। শুধু বাংলাদেশের জনগণের নয়, সারা বিশ্বব্যাপী আস্থা-বিশ্বাস যেন অর্জন করতে পারে।ইতিহাসে আজকের এই দিনটি এক বিশেষ গৌরবময় স্থান দখল করে আছে। যুদ্ধের বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা যৌথভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করে।শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মহান আত্মত্যাগ ও বীরত্ব গাঁথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।’২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই জাতির পিতাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তুু, তাঁরই সহযোগিরা তাঁরই নির্দেশ এবং ব্যবস্থা অনুসারে এই স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। যে সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ।এক পর্যায়ে একাত্তরের ২১ নভেম্বর আমাদের এই সশস্ত্রবাহিনী প্রতিষ্ঠা করে সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ শত্রু মুক্ত হয়।বঙ্গবন্ধু জাতি রাষ্ট্র পুনর্গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকেও সর্বাধুনিক একটি বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন।শস্ত্র বাহিনী আজ তাদের নানাবিধ জনসেবামূলক কর্মকা-ের জন্য জনগণের নির্ভরতা অর্জন করছে।শান্তিরক্ষা বাহিনীতে নিহত সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের অনেক শান্তিরক্ষী শাহাদৎ বরণ করেছেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের এই মহান দিনে আমি তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।সশস্ত্র বাহিনীকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম করে তোলার জন্য তাঁর সরকার কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহণ ও পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করছে বর্তমান সরকার্।

অারো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেত্রীবৃন্দ,তিন বাহিনী প্রধানগণ, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

(Visited ১ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি