বরিশাল কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক অপু রায় (৪৫) মারা গেছেন। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল ডিবিসির বরিশাল অফিসের ক্যামেরাপার্সন জুয়েল সরকার।
তিনি জানান, অপু রায়ের মরদেহ দুপুরে নগরীর কালু শাহ সড়কের বাসায় রাখা হয়েছে। রাত ৮টায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
বরিশাল মেডিকেল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খান আব্বাস বলেন, দুপুরে অপু রায়কে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিনি তখন গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। জরুরি বিভাগে ডাক্তার দেখানোর পরে ওয়ার্ডে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল। তখন তিনি মারা যান। আমি ও অন্যান্য সহকর্মীরা সঙ্গেই ছিলাম। অপু রায়ের মৃত্যুতে আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
অপু রায়ের বন্ধু সঞ্জয় বলেন, ৩-৪ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন অপু রায়। গতকাল রাতে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আজ সকালে কাশির সঙ্গে রক্ত বের হলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান। আমরা ধারণা করছি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মেহেদী হাসান জানান, আগের প্রেসক্রিপশন অনুসারে তিনি নিউমোনিয়া আক্রান্ত ছিলেন। বেসরকারি চেম্বারে চিকিৎসা নিয়ে ওষুধ সেবন করে আসছিলেন। আজ দুপুরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, অপু রায় কালু শাহ সড়কের রবার্ট স্যামুয়েল রায়ের ছেলে। তিনি স্থানীয় দৈনিক কীর্তনখোলা পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুকালে দুই শিশু সন্তান, স্ত্রী, মাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৭ জানুয়ারি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন নবচেতনা পত্রিকার বরিশালের ব্যুরো প্রধান মাসুদ রানা। ২৯ জানুয়ারি খাবারে বিষক্রিয়ায় মারা যান আরটিভির বরিশাল ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ আলী খান জসিমের একমাত্র ছেলে জারিফ। তার পরের দিন মারা গেলেন অপু রায়।