স্পোর্টস ডেস্ক: তারকাহীন আর্জেন্টিনাকে পেয়ে জয়ের সুযোগকে ঠিকভাবে কাজে লাগিয়েছে বলিভিয়া। মঙ্গলবার প্রতিপক্ষের মাঠে ২-০ গোলে হেরেছে আর্জেন্টিনা।
লাপাজের উচ্চতা মাথায় রেখে দল সাজিয়েছিলেন এদগার্দো বাউসা। তারকাহীন এক ম্যাচে এমন দল সাজাতে সাহসী হওয়ার প্রয়োজন ছিল বটে। কী-ই বা করার ছিল আর্জেন্টিনার কোচের। বলিভিয়ার মাঠে নামার কয়েক ঘণ্টা আগে শুনলেন বড় ধরনের দুঃসংবাদ- চার ম্যাচ নিষিদ্ধ লিওনেল মেসিকে পাচ্ছেন না তিনি। শুধু বলিভিয়া নয়; উরুগুয়ে, ভেনিজুয়েলা ও পেরুর বিপক্ষেও খেলা হবে না তার। ফিরবেন বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে। মেসিহীন আর্জেন্টিনার জন্য এ ম্যাচ ছিল তাই কঠিন চ্যালেঞ্জের।
এদিকে হলুদ কার্ডের কারণে আগেভাগে বহিষ্কৃত নিকোলাস ওতামেন্দি, হাভিয়ের মাসচেরানো, লুকাস বিগলিয়া ও গনসালো হিগুয়েইন। ফর্ম পড়ে যাওয়ায় সের্হিয়ো আগুয়েরোকে একাদশে রাখেননি বাউসা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ৬৭৩ মিটার উঁচুতে শক্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অচেনা একটি দল নামান বাউসা। মেসি-হিগুয়েইনদের অভাব তাই শুরু থেকে পড়েছে খেলায়। পাস করায় বেশ আনাড়ি ছিলেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা। বল দখলেও স্বাগতিকদের চেয়ে পিছিয়ে ছিল তারা।
আর রক্ষণে সামাল দিতেই সময় গেছে প্রথম ২০ মিনিট। আর এ সময়ে আর্জেন্টিনার ডি বক্সকে তটস্থ করে রাখতে সফল বলিভিয়া। ১৬ মিনিটে পেনাল্টি এলাকায় জটলার ভেতর থেকে স্বাগতিকরা লক্ষ্যে শট নিতে চেয়েছিল, গোললাইনের সামনে থেকে সেটা রুখে দেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মুসাচ্চিও। এর ২ মিনিট পর কাস্ত্রোর ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া শট ডানপ্রান্তে ডাইভ দিয়ে বাইরে পাঠান আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক সের্হিয়ো রোমেরো।
এর পর আধা ঘণ্টা হওয়ার ঠিক আগে দিয়ে তিনবার গোলমুখে হানা দেয় আর্জেন্টিনা। ২৮, ২৯ ও ৩০ মিনিটে আনহেল দি মারিয়া ও এভার বানেগার প্রচেষ্টা প্রতিহত করেন স্বাগতিক গোলরক্ষক লাম্পে। এ তিনটি মুহূর্ত তৈরি করে ম্যাচে ফেরার আভাস দিয়েছিল দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু তাদের থমকে যেতে হয় কয়েক মিনিট পর। আগের দুই ম্যাচ কোনও গোল হজম না করা দলটি ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ৩২ মিনিটে। এসকোবারের নিখুঁত ক্রসে বক্সের মধ্যে লাফিয়ে ব্যাক হেডে গোল করেন আরচে।
রক্ষণে ছন্নছাড়া আর্জেন্টিনার জালে দ্বিতীয়বার বল পাঠাতে খুব বেশি সময় নেয়নি বলিভিয়া। ৫২ মিনিটে হোর্হে ফ্লোরস ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়ে বল ক্রস দেন আর্জেন্টাইন রক্ষণভাগের নজরের বাইরে থাকা মার্টিন্স মোরেনোকে। প্রথমে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পরের শটে রোমেরোকে পরাস্ত করেন ২৯ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড। ২-০ গোলের এ ধাক্কা বিশ্বের সর্বোচ্চ স্টেডিয়ামে কাটিয়ে উঠতে পারেনি আর্জেন্টিনা।
সেরা চার দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে, আর পঞ্চম দলটি খেলবে ওশেনিয়া অঞ্চলের দলের বিপক্ষে প্লে অফ।