করোনার নতুন ধরন বিএফ-৭ পূর্ববর্তী ওমিক্রন ধরনের চেয়ে চার গুণ বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে যেকোনও মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে বলেও সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) করোনার নতুন এই ধরন সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, চীনে বিএফ-৫ এর নতুন ধরন বিএফ-৭ শনাক্ত হয়েছে। রোববার আমাদের দেশেও একজন চীনফেরত নাগরিকের দেহে বিএফ-৭ ধরনটি পাওয়া গেছে। এটি ওমিক্রনের চেয়ে অধিক শক্তিশালী। বিএফ-৭ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে অতি অল্প সময়েই বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন।
অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, ভারতে করোনার এই নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। ভারত এবং আমাদের অনেকগুলো বর্ডার দিয়ে যেহেতু নিয়মিত মানুষজনের আসা যাওয়া রয়েছে, তাই আমরা দেশের সব বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছি। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের কারও শরীরে বিএফ-৭ ভাইরাস রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করার জন্য আইইডিসিআর,বি—কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ কর্মকর্তা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছে। সবাইকে মাস্ক পরার পাশাপাশি আরও সচেতন হতে হবে। যারা এখনও পরিপূর্ণভাবে করোনার টিকা গ্রহণ করেননি, তাদের দ্রুত টিকা নিতে হবে। তবে টিকার মেয়াদ বাড়ানোর কোনও সুযোগ নেই। টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ অনুযায়ী এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েই টিকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।