দুটি সাবমেরিন চীন থেকে নিচ্ছে বাংলাদেশ । এ নিয়ে উদ্বেগ -উৎকন্ঠায় রয়েছে ভারত। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অস্ত্র কেনা -বেচা নিয়ে উদ্বেগে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিরক্ষা চুুিক্ত করতে চায় ভারত। আর চুক্তিটা হয়ে গেহলে চােইলেই বাংলাদেশ যে কোন দেশ থেকে অস্ত্র কিনতে পারবে না। আজ ভারতয়ি বিভিন্ন গণমাধ্যম এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশও চীনের কাছ থেকে সামরিক সাহায্য পাচ্ছে। চীন বাংলাদেশের দিকে সর্বস্তরে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। যেটা আগে পাকিস্তানেই সীমাবদ্ধ ছিল। চীনের লম্বা হাত বাংলাদেশকে ছুঁত না। এখন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। বাংলাদেশের সিংহভাগ উন্নয়ন প্রকল্পে চিন। পদ্মা সেতু নির্মাণে চিনের সাহায্য অকল্পনীয়।
এ বার সামরিক সহযোগিতাতেও এগিয়ে এসেছে চীন।
চট্টগ্রামের ঈশা খাঁ নৌঘাঁটিতে মাস চারেক আগেই এসে দাঁড়িয়েছিল চীনের দুটি সাবমেরিন, ‘বানৌজা নবযাত্রা’, আর ‘বানৌজা-জয়যাত্রা’। স্বাধীনতা দিবসের আগে তা আনুষ্ঠানিক ভাবে জুড়ল বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দুটির উদ্বোধন করে বলেন, সাবমেরিন দুটি আত্মরক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। বিশ্বে গুটিকয়েক দেশ সাবমেরিনে অভ্যস্ত। সেই সংক্ষিপ্ত তালিকায় বাংলাদেশের নাম উঠল। গর্বের বিষয়। ১৯৭১-এ বাংলাদেশ নৌবাহিনী গঠিত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেছিলেন, নৌবাহিনীকে তিনি সর্ব্বোচ্চ আধুনিক মানে উন্নীত করবেন। তাঁর অঙ্গীকারই রূপ পাচ্ছে। হাসিনার কথা, বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় দেশ, কিন্তু তার মানে এই নয় যে অন্যায়, অবিচারকেও বাঙালি মেনে নেবে।
ভারতের উত্তরে চীনের সিন কিয়াং প্রদেশ। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যটির অধিকার নিয়ে ভারত-চীন বিরোধ। ভারতকে বাগে রাখতে পাকিস্তানকে ব্যবহার করেছে চিন। এ বার কি নতুন রাস্তা খুঁজছে। চীন যেন মনে রাখে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অভিন্ন মৈত্রীর। কোনও অবস্থাতেই তাদের মাঝখানে পাঁচিল তোলা যাবে না।