ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ- এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, আওয়ামী লীগের সবাই দুর্নীতিবাজ নয়, বিএনপির মধ্যেও ভালো মানুষ আছে। আমরা দেশের সব নীতিবান, ভালো মানুষ ও আদর্শ নাগরিকদের নিয়ে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই।
সংঘাতের নোংরা রাজনীতির অবসান চাই। তাই আগামী নির্বাচন দলের জন্য নয়; সমৃদ্ধ ও কল্যাণকর দেশের জন্য হোক। আমরা স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। শুক্রবার (২৭ মার্চ) বেলা ২টায় নগরের আউটার স্টেডিয়ামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রাচ্যের রানি নামে খ্যাত সমুদ্র ও পাহাড়বেষ্টিত এই বন্দরনগরী নানা সমস্যায় জর্জরিত। কোনো কোনো সড়ক প্রশস্ত করা হলেও কাজ অসমাপ্ত। ঢাকায় যেখানে এক ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হয় না, সেখানে চট্টগ্রামে চার-পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং চলে।
এই হলো দেশের প্রধান বন্দর ও শিল্পনগরীর হাল। জোয়ারের পানিতে ঘরবাড়ি ডুবে যায়, মেরামতের অভাবে রাস্তাঘাটগুলো যান চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপ জমে থাকে। শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক।
যানজটেও নগরবাসীকে প্রায়ই নাকাল হতে হয়। যানজট, জলাবদ্ধতা, বিদ্যুৎবিভ্রাট ও অপরিকল্পিত উন্নয়নের অপর নাম বাণিজ্যিক রাজধানী। তাই চট্টগ্রামের কার্যকর উন্নয়নে সরকারকে অবিলম্বে উদ্যোগ নিতে হবে।
দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিভাগীয় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা খলিলুর রহমান, সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রহমান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, কেন্দ্রীয় সদস্য সেলিম মাহমুদ, যুব আন্দোলন সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল করীম আকরাম, নগর সহ সভাপতি আবুল কাশেম মাতবর, নগর সেক্রেটারি আল মুহাম্মদ ইকবাল প্রমুখ।