নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে যাওয়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দুই কনস্টেবল লাপাত্তা হয়ে হয়ে গেছেন। গত ৯ মে বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডসে যায় সিএমপির ৮ সদস্যের একটি দল।
গত ২৪ মে ৬ জন দেশে ফিরে আসলেও ২ জন আসেনি। নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবলরা হলেন, রাসেল চন্দ্র দে ও শাহ আলম। রাসেলের বাড়ি কক্সবাজারে আর শাহ আলমের বাড়ি কুমিল্লায়।
সিএমপি সূত্রে জানা যায়, সিএমপির কাউন্টার টেররিজম বিভাগের অধীনে একটি পূর্ণাঙ্গ ডগ স্কোয়াড (কে-৯) ইউনিট খোলা হচ্ছে। সেই ইউনিটের কার্যক্রম হিসেবেই দলটি প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ হেডকোয়ার্টারে পাঠানো ইউনিটটির অফিসিয়াল প্রস্তাব অনুসারে, সিএমপি দুটি ভিন্ন প্রজাতির ২০টি প্রশিক্ষিত কুকুর এখানে যোগ হবে।
যার মধ্যে ৮টি জার্মান শেফার্ড ও ১২টি ল্যাব্রাডর। বায়েজিদ বোস্তামী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ বেলায়াত হোসেনের নেতৃত্বে ৮ পুলিশ সদস্যের দলটি চলতি মাসের প্রাক্কালে ‘কুকুরের ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশ নিতে নেদারল্যান্ডস যায়।
নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। তিনি জানান, বিদেশে প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়েছিল আটজন, তাদের মধ্যে ৬ জন দেশে ফিরলেও দুইজন আসেনি। তাদের বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে মিসিং রিপোর্ট করা হয়েছে। ফিরতি ফ্লাইটের একদিন আগে ওই দুই পুলিশ সদস্য নিখোঁজ হন। তাদের পাসপোর্ট তাদের কাছেই আছে।