করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের আরও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবনের আঙ্গিনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার কর্তৃপক্ষ আরও জোরেশোরে কন্টাক্ট ট্রেসিং শুরু করেছে।
এদিকে, সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ এক মাস ধরে লকডাউনে থাকা বাণিজ্যিক নগরী সাংহাইয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয় সরবরাহ না পাওয়ায় স্থানীয়রা হাড়ি-পাতিল বাজিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। এ ব্যাপারে সাংহাই কর্তৃপক্ষের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
বেইজিংয়ে, কর্তৃপক্ষ করোনার সংক্রমণ শণাক্ত করতে এবং সংক্রমিত ব্যক্তিদের আশেপাশে যারা ছিল তাদের আইসোলেশনে রাখতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। রাজধানীর একটি আবাসিক ভবনের বাইরে ‘শুধু প্রবেশ, প্রস্থান নয়’ লেখা নির্দেশিকা দেখা গেছে।
শুক্রবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বেইজিংয়ে লকডাউন ঘোষণা করা হবে কিনা। তবে কর্তৃপক্ষ এ প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। তবে তারা জানিয়েছে, বেইজিংয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধশতের নিচে রয়েছে। এই সংখ্যা লকডাউনে থাকা সাংহাইয়ের তুলনায় অনেক কম।
বেইজিংয়ের চাওয়াং জেলায় চলতি সপ্তাহে প্রথম গণ পরীক্ষা শুরু হয়। শুক্রবার ৩৫ লাখ বাসিন্দার তিন দফার শেষ ধাপের শনাক্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। অন্যান্য জেলা শনিবার এই ধাপের পরীক্ষা হবে। নগরীর আরও অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বাসিন্দাদের অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই দিনি নির্দিষ্ট স্পা, কেটিভি লাউঞ্জ, ব্যায়ামাগার, সিনেমা হল, লাইব্রেরি এবং কমপক্ষে দুটি শপিং মল বন্ধ রাখা হয়।