পটুয়াখালীর দশমিনায় সড়ক ও জনপদের (সওজ) একটি সিসি গার্ডার ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই স্ল্যাবের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ব্রিজ নির্মাণে নিয়মের চেয়ে পরিমাণে কম নির্মাণসামগ্রী ও জমাটবাঁধা সিমেন্ট ব্যবহার আর ময়লাযুক্ত পাথর দিয়ে ঢালাই দেওয়ায় নির্মাণের আগেই ফাটল ধরেছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
পটুয়াখালীর সওজের সূত্রে জানা যায়, চার কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপদের (সওজ) আওতায় উপজেলার সরকারি আবদুর রসিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন খালের ওপর একটি সিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ব্রিজটি নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে পটুয়াখালীর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। ৭ মাস আগে পুরাতন ব্রিজটি ভেঙে নতুন একটি ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ- কাজ শুরু থেকে নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার সরকারি আবদুর রসিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন খালের ওপর নির্মাণ করা সিসি গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ব্রিজের মূল স্ল্যাবের বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় বহু ফাটল দেখা দিয়েছে। পরবর্তীতে ব্রিজটি ভেঙে যেতে পারে বলে স্থানীয়দের দাবি। এতে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছেন স্থানীয়দের মাঝে।
স্থানীয় মান্নান ও আলাউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ব্রিজ নির্মাণে নিয়মের চেয়ে পরিমাণে কম নির্মাণসামগ্রী ও জমাটবাঁধা সিমেন্ট ব্যবহার আর ময়লাযুক্ত পাথর দিয়ে ঢালাই দেওয়ায় নির্মাণের আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বারবার অভিযোগ করলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।
এ বিষয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার ফোন করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি। তবে নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মো. মাসুম হাওলাদার বলেন, স্ল্যাবের উপরে পানি আর সিমেন্ট দেওয়ায় হালকা ফাটল ধরেছে।
ফাটলের বিষয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা না জানিয়ে উল্টো ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গেয়ে দায়সারা বক্তব্য দিয়েছেন কাজের দায়িত্বে থাকা সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাগর বলেন, কোনো ফাটল ধরেনি। আর কাজেও কোনো অনিয়ম হয়নি।
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপদের (সওক) নির্বাহী প্রকৌশলী মীর মো. কামরুল হাসান বলেন, ফাটল ধরেছে নাকি এমন কথা শুনেছি। ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। আমি ঢাকায় আছি। ঘটনাস্থলে না গিয়ে বলতে পারছি না।