বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ভূয়া প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস চক্রের সাথে কলেজ প্রিন্সিপাল ও শিক্ষকরা জড়িত থাকার তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ (ডিবি, পশ্চিম)।
সোমবার রাতে এই অভিযানে ভূয়া প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস চক্রের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গাজীরচট এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ আশুলিয়ার প্রিন্সিপাল মো. মোজাফ্ফর হোসেনসহ ৪ শিক্ষক, এক অফিস সহকারী ও ৪ ছাত্রসহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সাত রাস্তা মোড় কেন্দ্রীয় ঔষধাগার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেইন গেটের পাশের যাত্রী ছাউনি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন— মো. মোজাফ্ফর হোসেন (প্রিন্সিপাল, গাজীরচট এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, আশুলিয়া, ঢাকা), মো. হামিদুর রহমান ওরফে তুহিন (শিক্ষক, কোনিয়া কোচিং সেন্টার, টঙ্গী), মো. জাহাঙ্গীর আলম (গনিত শিক্ষক, সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), মো. আতিকুল ইসলাম (শিক্ষক, এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ), মো. আব্দুল মজিদ (অফিস সহকারী, এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ), মো. আরিফ হোসেন আকাশ ওরফে আদু ভাই (ছাত্র), মো. সাইদুর রহমান (ছাত্র), মো. রাকিব হোসেন (ছাত্র) ও তানভীর হোসেন (ছাত্র)।
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন এ সব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গ্রেফতারদের কাছ থেকে জেএসসি-২০১৬ (বাংলা ২য় পত্র, গনিত, ইংরেজী, কৃষি শিক্ষা, চারু ও কারু কলা), এইচএসসি-২০১৬ (উচ্চতর গণিত ১ম পত্র, রসায়ন, জীব বিজ্ঞান), এসএসসি-২০১৭ (বাংলা ২য় পত্র, ইংরেজী ১ম পত্র, ইংরেজী ২য় পত্র, গণিত, পদার্থ) সালের পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের ভূয়া প্রশ্নপত্র, পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব সম্বলিত স্ক্রীনশট এবং ৯টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। তারা পাবলিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকায় ফাঁস করা প্রশ্নপত্রের উত্তর জানিয়ে দিত। তারা ভূয়া প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতাররা প্রতারণা করে বহুদিন ধরে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে আসছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।