বরগুনা সদর উপজেলার একটি ইউনিয়নে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি ২৫০টি পরিবার। দিনের পর দিন বিদ্যুৎ অফিসে ধর্ণা দিয়েও তারা সংযোগ পাচ্ছেন না।
অন্যদিকে সোমবার (২১ মার্চ) পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার ১ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে প্রায় ২৫০ পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগের আওতার বাইরে রয়েছেন। এই ইউনিয়নের বাওয়ালকর গ্রামে বেশ কিছু পরিবারে অন্ধকারে জীবনযাপন করছেন। অথচ বরগুনা জেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
বাওয়ালকর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য গত বছর নভেম্বরে পল্লী বিদ্যুতে আবেদন করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন এ ব্যাপারে আমাদের কাছে আসেননি।
বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান রাজা সোমবার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, আমার ইউনিয়নের মোট আয়তন ৩,০৮২ হেক্টর (৭,৬১৬ একর) এই ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ২৬,২০১। জনঘনত্ব ৮৫০/বর্গকিমি (২,২০০/বর্গমাইল)।
ইউনিয়নের প্রায় সব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। তবে বিভিন্ন কারণে প্রায় ২৫০টির মতো ঘর নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় বাইরে রয়েছে। যারা বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় বাইরে রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে যাতে নতুন সংযোগ পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বরগুনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে নতুন সংযোগ পাওয়ার জন্য ২০০টি আবেদন জমা পড়েছে। সব আবেদনকারীকে পর্যায় ক্রমে নতুন সংযোগ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্বঘোষিত শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিয়েছেন সোমবার ২১ মার্চ। তিনি বলেন, ‘আজকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে আমরা আলো জ্বালতে পারলাম এটাই হচ্ছে সবচেযে বড় কথা। আমরা আলোকিত করেছি এদেশের মানুষের প্রত্যেকটা ঘর।
টানা তিনবারের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওয়াদা করেছিলাম, প্রতিটি মানুষের ঘর আলোকিত করব, প্রতিটি মানুষ আলোকিত হবে। আলোর পথে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। আজকের দিনটা সেই আলোর পথে যাত্রা শুরু যে সফল হয়েছে সেই দিন।