রির্পোট -সাজ্জাদ খোশনবীশ.
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি.
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে টাঙ্গাইল ড্রীমস স্কুলে অনুষ্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও গল্পশোনানো অনুষ্ঠান। শিশুদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে একাত্তরের সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল আলম শহীদ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান। নিজের যুদ্ধে যাওয়ার পটভূমি তুলে ধরার পাশাপাশি সবচেয়ে কম বয়সে বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলামের যুদ্ধে যাওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “যখন পাকিস্তানিরা গণহত্যা শুরু হরে, তখন আমরা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি। প্রথমত, টাঙ্গাইলে আমরা ছোট ছোট গেরিলা দল হয়ে যুদ্ধ শুরু করি। তখন অনেকে বলত, অস্ত্র নেই কীভাবে যুদ্ধ করবে? “আমরা বলেছি, মায়ের ইজ্জত রক্ষার জন্য সন্তানের অস্ত্রের প্রয়োজন হয় না।” কিশোর শহিদুল ইসলামের প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বয়স কম হওয়ায় তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে নেওয়া হচ্ছিল না বলে জানান আনোয়ারুল আলম শহীদ। “এক পর্যায়ে তাকে নেওয়া হল এবং একটি পাকিস্তানি ক্যাম্পে অপারেশনের জন্য পাঠানো হয়। চালের বস্তার মধ্যে গ্রেনেড দিয়ে পাঠানো হয় তাকে। এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর সে বলে, আমাদের বাড়ি পাকিস্তানিরা পুড়িয়ে দিয়েছে নানাবাড়িতে যাচ্ছি। ওই বন্ধু তাকে বাড়িতে আশ্রয় দেয়। “ক্যাম্পের কাছাকাছি ওই বন্ধুর বাড়িতে রাতে থাকে শহীদুল এবং রাতেই গ্রেনেড অপারেশন চালায়।” শিশু শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা শোনাতে এসে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পিতার বীরত্বপূর্ণ কাহিনীর বর্ণনা তুলে ধরেন শিক্ষক ও কবি সাজ্জাদুর রহমান খোশনবীশ। রাশেদুল ইসলাম রাশেদের সঞ্চালনায় ড্রিমস স্কুলের শিক্ষক অভিভাবক সহ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল সিটিজেন জার্নালিস্ট গ্রুপ সদস্য আকিবুর রহমান ইকবাল, রফিকুল ইসলাম রিপন, মিন্টু খান, লিটু সিদ্দিকী, এহসান, ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।