বরিশালে লঞ্চ থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
শারমিন আক্তার নামের ওই তরুণীর বাবা এনায়েত হোসেন শুক্রবার রাত সোয়া ১২টার দিকে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মাসুদ হাওলাদারের নামে হত্যা মামলা করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনায়েত জানান, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পশ্চিম গোপালপুর এলাকার মাসুদ হাওলাদার বিয়ের প্রলোভনে তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের মামলা নিষ্পত্তির জন্য দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর তাদের বিয়ে দেয়া হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমার মেয়ে ১২ বছর ধরে ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়ায় গার্মেন্টসে চাকরি করে। বিয়ের পর শারমিনকে আমাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নেয়। বিভিন্ন সময় তাকে নির্যাতনের খবর শুনেছি। তারা বরিশালে লঞ্চে আসছে তাও জানায়নি।’
ঢাকা থেকে বরিশালে আসা এমভি কুয়াকাটা-২ নামের লঞ্চ থেকে শুক্রবার সকালে শারমিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শারমিনের চাচাতো ভাই আরিফুর রহমান বলেন, ‘বিকেলে টিভিতে শারমিনের লাশ উদ্ধারের খবর দেখি। তারপর লঞ্চে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজে শারমিনের সঙ্গে মাসুদকে ঢুকতে এবং একা ফিরে আসতে দেখি। মাসুদই আমার বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি বলেন, ‘শারমিনের বাবার করা মামলার তদন্ত করবে নৌ-পুলিশ। সেই সঙ্গে আমরাও ছায়া তদন্ত করব।’
নৌ সদর থানার ওসি হাসনাত জামান জানান, আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।