পিরোজপুর জেলার সদর থানাধীন নরখালী গ্রামের ছদ্মনাম মোছাঃ হাফিজা খাতুন (১৩) কে প্রতিবেশী মোঃ ফিরোজ শেখ(২৮) তার নিজ বাড়ীতে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে।
ভিকটিমের বাবা মোঃ লিটন ডালি (৩৬), পিরোজপুর জেলার সদর থানায় আসামী মোঃ ফিরোজ শেখ(২৮) এর বিরুদ্ধে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করে।
ঘটনার পর থেকে উক্ত ধর্ষণ মামলার আসামী মোঃ ফিরোজ শেখ(২৮) পলাতক ছিলো। এই সংবাদ প্রাপ্তিতে র্যাব-৮, একটি অভিযানিক দল বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে জানতে পারে যে, আসামী বরিশাল জেলার কোতয়ালী থানাধীন হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় অবস্থান করছে।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দলটি ২৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখ আনুমানিক ১৮.৪৫ ঘটিকায় কৌশলগত ভাবে আসামীর সন্নিকটে পৌঁছলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ঘেরাও পূর্বক আসামী মোঃ ফিরোজ শেখ(২৮),পিতাঃ মৃত জাফর শেখ, গ্রেফতার করে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, ছদ্মনাম মোছাঃ হাফিজা খাতুন (১৩)কে প্রতিবেশী মোঃ ফিরোজ শেখ(২৮) বিভিন্ন সময়ে তাকে বিভিন্ন ভাবে কু-প্রস্তাব দিত।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ বিকাল অনুমানিক ১৫.০০ ঘটিকার সময় আসামী ভিকটিমের বাড়িতে তার বাবা মা না থাকায় জোর করে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে চৌকির উপরে শৌয়াইয়া জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
মেয়েটির চিৎকার শুনে পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা মোঃ লিটন ডালি(৩৬) পিরোজপুর জেলার সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ ফিরোজ শেখ(২৮)কে পিরোজপুর জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। র্যাবের এ ধরণের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।