বরগুনা, ২৭ অক্টোবর বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানিয়েছেন, দেশি মাছ রক্ষায় বিভিন্ন সময়ে নানা প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করা হয়েছে। নতুন করেও দেশি মাছ রক্ষায় একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যা পরিকল্পনা কমিশনে পাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
জলবায়ুর পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অসচেতনতা, অবাধে ফসলের জমিতে ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহারের কারণে সারাদেশে দেশি মাছের অস্তিত্ব প্রায় বিলীনের পথে হলেও বরগুনায় এখনো বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছের দেখা মেলে।
দেশি জাতের এসব মাছের মধ্যে রয়েছে শোল, বাইল্যা, কাজলি, সরপুঁটি, পাবদা, খৈলশা, টাকি, কৈ, চিংড়ি, গজাল, টেংরা, চিতল, শিং, খয়রা, বাটা, পাইশ্যা, কালিবাউশ, ডগরি, জাবা, ভোলা, বাগাড়, বাঁশপাতা, কাইন, দেশি পুঁটিসহ অর্ধশত প্রজাতির মাছ। এসব মাছকে টিকিয়ে রাখতে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করার এখনই সময় বলে জানিয়েছেন জেলে, সাধারণ মানুষ ও মৎস্য বিশেষজ্ঞরা।
স্থানীয় মানুষের সাথে আলাপকালে তারা জানান, দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছের স্বাদ অতুলনীয়। পানি দূষণ, জলাশয়ের গভীররা হ্রাস, ছোট মাছ ধরার জন্য কারেন্ট জালের ব্যবহারের কারণেও মাছে প্রজাতি ধ্বংস হচ্ছে।
নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এসব মাছের অনেক প্রজাতি এখন চোখে পড়ে না। জেলা মৎস্য বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তা হালিমা সরদার জানান, মাছের রেনু ধরা পড়ে মাছের প্রজনন বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্থায়ীভাবে মা-মাছ সংরক্ষণে প্রজননকাল নির্ধারণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতি জরুরি।