গণপরিবহনে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনে পুরুষ যাত্রী বসলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৭’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সচিবালয়ের সোমবার (২৭ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে খসড়া আইনটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পাবলিক বাসগুলোতে প্রায়ই দেখা যায়, মহিলাদের জন্য নির্ধারিত আসনগুলো পুরুষদের দখলে থাকে।
খসড়া আইনে সাধারণ নির্দেশাবলী নামে একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘এখানে ১৪টি অনিয়মের জন্য সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ১১টি অনুশাসন না মানলে সর্বোচ্চ এক মাসের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড পেতে হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মহিলা, শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে অন্য কোন যাত্রী বসলে বা বসার অনুমতি দিলে সর্বোচ্চ এক মাসের জেল বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। সিট বেল্ট না বাধালেও একই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’
শফিউল আলম বলেন, ‘মদপান বা নেশাদ্রব্য পান করে গাড়ি চালানো, মদপান বা নেশাদ্রব্য পান করে মোটরশ্রমিকদের গাড়িতে অবস্থান করা, মোটরযান চালক কোন অবস্থাতেই হেল্পারকে গাড়ি চালাতে দেওয়া, সড়ক বা মহাসড়কে নির্ধারিত অভিমুখ ছাড়া বিপরীত দিক থেকে গাড়ি চালানো, সড়ক বা মহাসড়কের নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোন স্থানে বা রং সাইডে মোটরযান থামিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে তিন মাস কারাদণ্ড বা ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে।’
একই সঙ্গে মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া একজনের বেশি যাত্রী বহন, মোটরসাইকেলের চালক ও যাত্রীর হেলমেট ব্যবহার না করা, চলন্ত অবস্থায় চালক বা কন্ডাক্টার কোন যাত্রীকে গাড়িতে ওঠাতে বা নামাতে পারবেন না, প্রতিবন্ধীদের জন্য অনুকূল সুযোগ সুবিধা না রাখা, ঝুঁকিপূর্ণভাবে গাড়িতে কোন যাত্রী বা পণ্য বহন করা যাবে না, কোন সড়ক বা মহাসড়কে গাড়ি মেরামতের জন্য যন্ত্রাংশ ও মালামাল রেখে যানবাহন বা পথচারী চালাচলে বাধা সৃষ্টি করলেও একই শাস্তি পেতে হবে।