শামীম আহমেদ : বরিশালে গনি মোল্লা হত্যার ঘটনায় আসামীদের গ্রেপ্ততার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (২৬ই) অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১০ অক্টোবর বরিশালের হিজলা উপজেলার মান্দ্রারচর কুশুরিয়া গ্রামে জমি ও ফসল নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর আহত হন গনি মোল্লা (৬১)। মারধরের পরদিন উন্নত চিকিৎসার জন্য গনি মোল্লাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে পুনরায় হামলা চালায় পতিপক্ষরা। এতে গত বুধবার ২০ অক্টোবর মৃত্যু হয় গনি মোল্লার।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে নিহত গনি মোল্লা স্ত্রী হাজেরা বেগম বলেন, ঘটনার দিন গত ১০ অক্টোবর গনি মোল্লার চাচাতো ভাই বাবুল মোল্লার সাথে জমি ও ফসল নষ্ট করা নিয়ে একই এলাকার আলী হোসেন জমাদ্দারের ছেলে খলিল জমাদ্দার, আলী হোসেন জমাদ্দার,ফারুক জমাদ্দার, সোহেল জমাদ্দার, জািকর হমাদ্দার, মুহাম্মদ আলী জমাদ্দার, মিলন জমাদ্দার, রুবেল জমাদ্দার, সবুজ জমাদ্দার, কাঞ্চন জমাদ্দার, রহমান জমাদ্দারের সাথে হাতাহাতি হয়।
ঘটনার একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা মিলে তাকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় বাবুল মোল্লার চাচাতো ভাই গনি মোল্লা তাকে বাঁচাতে এলে তাকেও পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এতে গনি মোল্লা গুরুত্বর আহত হলে স্বজনরা তাকে হিজলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ও পরে তাকে ২০ অক্টোবর বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী বাহীনি পুনরায় হামলা করে।
এতে ঘটনাস্থলেই গনি মোল্লার মৃত্যু হয়। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী হাজেরা বেগম বাদী হয়ে হিজলা থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে গরিমশি করছে বলে অভিযোগ করেন নিহত গনি মোল্লার স্ত্রী হাজেরা বেগম।
এবিষয়ে হিজলা থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) ইউনুস মিয়া বলেন, গনি মোল্লা আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। তিনি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মারধরের পর তিনি হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরন করেন। এঘটনায় থানায় একটি সাধারন ডায়রী করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত পোস্টমটেম রিপোর্ট হাতে পাইনি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু এঘটনায় কেউ মামলা করতে আসেনি বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নিহত গনি মোল্লার ছেলে আ. ছত্তার মোল্লা, গনি মোল্লার চাচাতো ভাই বাবুল মোল্লা।