বাংলাদেশের সামনে এখন র্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে ওঠে যাওয়ার হাতছানি। ছয় নম্বর জায়গাটি শ্রীলঙ্কারই। ফলে এই সিরিজের বাংলাদেশ দুইভাবে লাভবান হতে পারে—এক জয়ে। বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট বাড়বেই না, শ্রীলঙ্কার পয়েন্টও কমবে।
প্রথম ম্যাচ জেতার পর বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট এখন ৯৩, শ্রীলঙ্কার ৯৭। দ্বিতীয় ওয়ানডে বাংলাদেশ জিতলে শ্রীলঙ্কার মোট পয়েন্ট কমলেও তা অবশ্য ভগ্নাংশের প্রভাব ফেলবে রেটিং পয়েন্টে। তখন শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট ৯৭ থাকলেও বাংলাদেশের পয়েন্ট হয়ে যাবে ৯৫। আর বাংলাদেশ যদি ৩-০তে সিরিজ জেতে; তখন দুই দলেরই রেটিং পয়েন্ট হয়ে যাবে ৯৬। মোট পয়েন্টের সুবাদে ভগ্নাংশের ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশ উঠে যাবে ছয়ে, শ্রীলঙ্কা নেমে যাবে সাতে।
আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে বাংলাদেশকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র্যাঙ্কিংয়ের আটের মধ্যে থাকতে হবে। র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ এখন সাতে। বিশ্বকাপে খেলার ব্যাপারটা মাথায় থাকবে কি না—এই সিরিজ শুরুর আগে মাশরাফি বলেছিলেন, ‘এটা সব সময়ই মাথায় থাকে। তবে শুধু ২০১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবলে খেলোয়াড়দের জন্য চাপ হয়ে যাবে। যেভাবে খেলছে, সেটি সবাই উপভোগ করেছে, এটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি। এখানেও তারা একইভাবে উপভোগ করবে। বড় বিষয় হচ্ছে, আমরা দেশের বাইরে খেলছি। গত বছরও আমরা সব ওয়ানডে খেলেছি দেশের মাটিতে। নিউজিল্যান্ডে সর্বশেষ যে তিনটি ওয়ানডে খেলেছি, প্রতিটিতে হেরেছি। এটা আমাদের জন্য অন্য রকম চ্যালেঞ্জ। আশা করি, উতরে যেতে পারব।’
মেহেদী মিরাজকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘এই সিরিজটা যেহেতু আমাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, এ জন্য তাকে দলে নেওয়া হয়েছে।’