আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আপনারা আলোচনার মাধ্যমে একটা অবস্থা তৈরি করুন। যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। আমরা এ কথাও বলেছি, বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙক্ষা পূরণ করতে পারে একটি অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন। তাই নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রবিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি আয়োজিত র্যালির উদ্বোধনকালে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়নি, জঙ্গিবাদকেও প্রশ্রয় দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কখনো আপোষ করবে না। কারো কাছে মাথা নত করবে না।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার ৪৬ বছর পরেও স্বাধীনতা ম্লান হয়ে গেছে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। গণতন্ত্র লুণ্ঠিত। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ সবকিছু লুপ্ত হয়ে গেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘আমরা হারানো গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে চাই, ফিরে পেতে চাই। সে জন্য মহান স্বাধীনতার এই দিনে, আজকে, বিএনপিকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে নেমে পড়তে হবে।’
জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে তিনি বলেছেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার ডাকে সমগ্র জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। পরবর্তীতে তিনি একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি করেছেন।’
বিএনপির স্থায়ী সদস্য ও ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে র্যালি উদ্বোধনকালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে বিএনপি। র্যালিটি নয়াপল্টন বিএনপির অফিসের সামনে থেকে শুরু করে বিজয়নগর মোড়-কাকরাইল-শান্তিনগর হয়ে মালিবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীতে অংশ নেয় বিএনপির শত শত নেতাকর্মী।