দুদকের করা অর্থ আত্মসাৎ মামলায় পিরোজপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক উপসচিবকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মহসিনুল হক মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে এই রায় দেন।
সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডিতদের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে এই টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার জন্য পিরোজপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে নূর উদ্দিন আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, পিরোজপুরের দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা ক্লায়েন্স গোমেজ ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী শেখ বাদশার নামে সদর থানায় মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, বাদশা নিয়ম বহির্ভূতভাবে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া ও টেন্ডার আহ্বান না করে পৌরসভার গাড়ি কেনার জন্য ১৯৮৫ সালের ২২ জুন রূপালী ব্যাংকের দুইটি অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ টাকা তোলেন।
সেখান থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি টয়োটা গাড়ি কেনেন। তবে বাকি ৮০ হাজার টাকা পৌরসভায় ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।
জেলা দুর্নীতি ব্যুরো নারায়ণ চন্দ্র দত্তকে মামলার তদন্তভার দেন। তদন্তে চেয়ারম্যান বাদশা ও উপসচিব আলাউদ্দিনের নামে অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
তিনি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সুপারিশ করে মামলাটি পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠান। সেখান থেকে অনুমতি পেয়ে ১৯৯২ সালের ২২ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘অভিযুক্ত দুজন রায় শুনানির সময় মঙ্গলবার আদালতে হাজির হন। আদালত রায় ঘোষণার পর তাদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।’