ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে রিমু আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালিয়েছেন স্বামীসহ স্বজনরা। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মরদেহ শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করলেও নিহতের বাবার মামলা গ্রহণ করেনি।
নিহত রিমু আক্তার শহরের দক্ষিণ সালন্দর শান্তি নগরে স্বামী তামিম হোসেনের সঙ্গে বসবাস করতেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোববার সন্ধ্যায় মৃত এক নারীকে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মরদেহটি রেখে পালিয়ে যান তারা। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি (তদন্ত) জিয়ারুল জিয়া বলেন, মরদেহ থানায় আনার পর আমরা গৃহবধূর পরিবার সন্ধান করতে থাকি। পরে মৃতের বাবার পরিবারের সন্ধান পেয়ে সোমবার দুপুরে তাদের অবগত করা হয়।
নিহত গৃহবধূর বাবা আলম হোসেন বলেন, দশ মাস আগে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছি। জামাই নেশা করে প্রায়ই মেয়েকে নির্যাতন করতেন। বেশ কয়েকবার জামাইকে বুঝিয়েছি। কোনো লাভ হয়নি। কিন্তু এবার তারা মেয়েটাকে মেরেই ফেললো। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাকিবুল ইসলাম চয়ন জানান, গৃহবধূর গলায় ফাঁসসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।