স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, দেশে আমারা দ্রুত অক্সিজেনারেটর আমদানি করছি।
এই মেশিন বাতান থেকে প্রতি মিনিটে ৫০০ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে। এই একটি মেশিন ১০০ জনকে অক্সিজেন দিতে সক্ষম। ইতোমধ্যে আমরা ৩ টি অক্সিজেনারেটর আমদানি করছি।
যেগুলো চট্রগ্রাম, রাজশাহী ও গোপালগঞ্জে ব্যবহৃত হচ্ছে। আরও ৮০ টি মেশিন আমদানি করা হচ্ছে। দ্রুতই বরিশালবাসী অক্সিজেনারেটর পাবে। তিনি আরও বলেন, করোনা কাউকেই করুনা করে না ।
ঢাকা শহরে এখন যত রোগী ভর্তি আছে সব গ্রামের। আমি রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভিজিট করে এ তথ্য জেনেছি। এসময় তিনি সবাইকে মাস্ক পরার আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন।
টিকা নিয়ে বাংলাদেশে কোন সমস্যা হবে না। চীন থেকে প্রচুর পরিমানে টিকা আমাদানী করা হচ্ছে। এছাড়া দ্রæত আমরা দেশে করোনার টিকা উৎপাদন শুরু করবো।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বরিশাল শিল্পকলা মিলনায়তনে বিভাগীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদলের সভাপতিত্বে সমন্বিত কোভিড ব্যবস্থাপনা বরিশাল মডেল বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বশির আহমেদ,বরিশাল রেঞ্জের উপ মহা পুলিশ পরিদর্শক এস এম আক্তারুজ্জামান, বরিশাল বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস, বরিশাল পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক এম.ডি আব্দুস সালাম এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ হেলথ সেকশন চীফ সানজানা ভার্দওয়াজ সহ ছয় জেলার জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর সদস্যরা সহ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারি বৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে সমন্বিত কোভিড ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
এরপর সকলের অংশগ্রহণে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পরে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদ পত্র বিতরণ করা হয়।