বরিশালে আরেক দফা বেড়েছে মসুর ডালের দাম। আগস্টের শেষ সপ্তাহে একদফা দাম বেড়ে বড় দানার মসুর ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
অন্যদিকে, কোরবানির পর তৃতীয় দফায় বেড়েছে ফার্মের মুরগির দামও। এক সপ্তাহ আগেও সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২২৫ টাকা। এখন ৩৫ টাকা বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। এছাড়া সরবরাহ কম থাকায় ইলিশের দাম চড়া। আকারভেদে ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ৯০০-১৪০০ টাকা।
এছাড়া চাল, আদা, রসুন, চিনি, আটা-ময়দা ও সয়াবিন তেলের উচ্চমূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজি সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা চড়া।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) নগরীর চৌমাথা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিপ্রতি ৪০ টাকা থেকে শুরু। কাকরোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গে, করলা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এছাড়া বাঁধাকাপি ৬০, টমেটো ৯০-১০০, বরবটি ৫০, কাঁচামরিচ ৯০-১০০, শসা ৫০, বেগুন ৬০-৭০, গাজর ৮০-১০০ ও ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। বাজারে কম দামের সবজির মধ্যে মিলছে কেবল পেঁপে, পটোল ও মিস্টি কুমড়া। তাও প্রতি কেজি ৩০ টাকা।
সবজি বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, এখানে ভালো মানের সবজি আসে। তাই দামও বেশি। বন্যার কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে। এজন্য দাম কিছুটা চড়া। আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আটা-ময়দা ও চিনির দামে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।
প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন ১৩০-১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেলের প্রতি লিটারের দাম ১৪৫-১৪৯ টাকা। ব্রয়লার মুরগি ১২৫, কক ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে হালিপ্রতি ৩৫ টাকায়।
চৌমাথা বাজারের ভাই ভাই হাঁস মুরগির দোকান মালিক শাহ আলম সিকদার জানান, লোকসানের কারণে কিছু কিছু ফার্ম বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে সরবরাহে ঘাটতি চলছে। তাই দাম ঊর্ধ্বমুখী।
বাজারের মেসার্স আ. মজিদ স্টোরের বিক্রেতা মো. মেহেদী হাসান জানান, কয়েকদিনের মধ্যে বিশেষ করে মোটা দানার মসুর ডালের দাম বেড়েছে। এর বাইরে নিত্যপণ্যের দামে তেমন পরিবর্তন হয়নি।