বানারীপাড়া প্রতিনিধি: বরিশালের বানারীপাড়য় ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টায় বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর পিতা উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়নের তেতলা গ্রামের বিমল রায় (৩৮) বাদী হয়ে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) পার্শবর্তী বাড়ির মৃত হরিপদ রায়ের ছেলে বিশ্বনাথ রায় (৫২) কে আসামী করে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ওই সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ জুলাই বাদীর বাড়ির পশ্চিম দিকের ফজলুর রহমান গংদের পেয়ারা বাগানে ঘটনার সূত্রপাত।
মামলার বিবারণে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন বিকেল ৩ টার দিকে ওই ছাত্রী পেয়ারা খাবার জন্য নৌকায় বসেছিলো।
বিশ্বনাথ রায় সে (ছাত্রী) কেন একা নৌকায় বসে আছে জানতে চায়। ছাত্রী জানায় তার সহপাঠি সম্রাট তাকে পেয়ারা খাওয়াতে নিয়ে যাবে।
এ কথা শুনে বিশ্বনাথ রায় তাকে ভালো পেয়ারা খাওয়ানোর কথা বলে পেয়ারা বাগানে যেতে বলে। পিতার চেয়েও বয়সে বড় কাকার সাথে সরল মনে ওই ছাত্রী পেয়ারা খেতে যাওয়ার সম্মতি জানায়।
বিশ্বনাথ নির্জন বাগানে পৌঁছে ওই ছাত্রীকে কান্দি-কাঁচার মধ্যে সোয়াইয়া পরিধেয় সেলোয়ার-কামিজ খুলিয়া জোরপূর্বক জবরদস্তি ধর্ষন চেষ্টা চালায়।
ওই ছাত্রী বিশ্বনাথের হাতে-পায়ে ধরলেও সে তার কামলালসা চরিতার্থ করতে জোরদবস্তি চেষ্টা চালায়। পরে ওই নৌকা যোগেই বিশ্বনাথ ছাত্রীকে তাদের বাড়ির পার্শবর্তী কালভার্টে নামিয়ে দিয়ে যায়।
তবে নামিয়ে দেয়ার আগে সে এ ঘটনা কারও কাছে বললে ছাত্রীর পিতা-মাতা ও ছোট ভাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
ছাত্রী বাড়িতে আসার পরে তার পূর্বের চাঞ্চল্যতা লোপ পেয়েছে এমনটা আচ করে পিতা মাতা। তবে ছাত্রী হয়তো কাউকেই কিছু বলেনি হুমকির কারণে।
কয়েক দিন পরে মায়ের কাছে বললে তারা বিষয়টি অবগত হয়। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এতোদিন মামলা দায়ের করেনি বলেও জানাগেছে।
এবিষয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) পুলিশ পরিদর্শক জাফর আহম্মেদ জানান, ভিকটিমের পিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই দিনই বিশ্বনাথ রায়কে গ্রেপ্তার করে বরিশাল জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে এবং ভিটটিমকে উদ্ধার করে বরিশাল ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।