বৃহস্পতিবার , ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

বানারীপাড়ায় সাবেক স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিবেদক
Alltime BD News24 .com
সেপ্টেম্বর ২, ২০২১ ৩:২০ পূর্বাহ্ণ

বানারীপাড়া প্রতিনিধি: সাবেক স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নরে ডুমুড়িয়া গ্রামের আবুল কালাম হাওলাদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় আসামী করা হয়েছে তার সাবেক স্ত্রী শিরিন আক্তার (৪৯), ছেলে মো. শাওন হাওলাদার (৩৩), মেয়ে সায়মা আক্তার (২৮) ও পিরোজপুর জেলার উকিলপাড়া গ্রামের মো. জাহিদ মল্লিকসহ আরও ৫/৬ অজ্ঞাতনামা।

জাহিদ মল্লিক ১নং আসামীর ভাইয়ের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায় শিরিন আক্তার বাদীর স্ত্রী ছিলো।

তাকে ২০২০ সালের ২৬ জুলাই বরিশাল কাজী অফিসের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রিকৃত তালাক প্রদান করেণ আবুল কালাম হাওলাদার।

২ ও ৩ নং আসামী বাদীর অবাধ্য সন্তান। আবুল কালাম বহু বছর পর্যন্ত বাইশারী ইউনিয়নের ডুমুড়িয়া গ্রামে একটি ইটের ভাটা পরিচালনা করছেন।

তবে সাবেক স্ত্রী শিরিন আক্তার ও মেয়ে সায়মা আক্তার তার (বাদীর) শত্রুদের সাথে হাত মিলিয়ে তাদের কুপরামর্শে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। পুত্র শাওন একজন মাদকাসক্ত, সে পিতাকে মারধর করে।

উভয় আসামীরা মিলিত হইয়া বাদীর অনুপস্থিতিতে ইতোপূর্বে তাহার বহু টাকা, স্বর্ণালংকার ও মুল্যবান মালামাল আত্মসাৎ করেছে।

এ নিয়ে আসামীদ্বয়ের সাথে স্থানীয়ভাবে শালিশ মিমাংশার একাধিকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় সে।

এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে সকল আসামীর পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী চলতি বছরের ২২ মে আবুল কালাম হাওলাদারকে আসামী করে সাবেক স্ত্রী শিরিন আক্তার বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন আইনের ১১ (গ)/৩০ ধারায় জি.আর ৫৬/২০২১ মামলা দায়ের করেণ।

মামলা দায়েরের দিনই কালামকে বানারীপাড়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে বরিশাল আদালতে পাঠায়। তবে ২৩ জুন আবুল কালাম হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে মুক্ত হন।

মামলায় আরও উল্লেখ থাকে যে, কালামকে আটকের পরেরদিন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ১নং আসামীর নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা এবং সকল আসামীরা মিলিত হয়ে বাদীর মালিকানাধীন ইটের ভাটা থেকে ৪ লাখ ইট, ৮ হাজার ৫ শত টাকা ধরে মোট ৩৪ লাখ টাকা মুল্যে ট্রলার যোগে নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা বাধা দিলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের হুমকী দেয়।

এ ছাড়াও ইট ভাটার অফিসের সিন্ধুক খুলে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও দরকারি কাগজপতত্র নিয়ে যায়।

যার মুল্য ৪ লাখ টাকা। কালাম জামিনে বের হয়ে আসামীদের কাছে মালামাল, কাগজপত্র ও টাকা ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বিকার করেণ।

স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা বিষয়টি নিয়ে মিমাংশার চেষ্টা করে ব্যর্থ হবার পরে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করা হয়েছে।

এদিকে সরেজমিনে আসামীদের পাওয়া না যাওয়ায় ও তাদের মুঠোফোন নম্বর স্থানীয় কেউ জানাতে না পাড়ায় তাদের বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।

(Visited ১ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি