ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলার আমদানি ও রপ্তানিযোগ্য মালামালের ডকুমেন্টেশন কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে ২০১৫ সাল থেকে ওয়ান স্টপ সার্ভিস কার্যক্রম চালু হয়। গত কয়েক বছর ধরে এ কার্যক্রমের আওতায় বন্দর ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন। ধাপে ধাপে এই ওয়ান স্টপ সার্ভিস কার্যক্রম আরও আধুনিকায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার থেকে ট্রাফিক বিভাগের চারটি শাখা যথাক্রমে- কন্টেইনার বিল, আনস্টাফিং, ইকুয়েপমেন্ট এবং রাজস্ব ও রিটার্ন শাখা বন্দর ব্যবহারকারীদের নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। শাখাগুলোর মাধ্যমে বন্দর ব্যবহারকারীরা ২০ মিনিটের মধ্যে সব ধরনের ডকুমেন্টেশন কার্যক্রম সম্পন্ন ও বন্দর মাশুলাদি পরিশোধের তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। বর্তমানে অটোমেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বন্দর জেটিতে খালাস কন্টেইনার, সাধারণ পণ্য ও রিকন্ডিশন্ড গাড়ির যাবতীয় বিল প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এছাড়াও ইকুয়েপমেন্ট শাখা থেকে বন্দর ব্যবহারকারীদের দাখিল করা যান্ত্রিক সরঞ্জামের চাহিদাপত্রের ভিত্তিতে অনলাইনে যান্ত্রিক ও তড়িৎ বিভাগ হতে সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামের বুকিং ও অপারেটর নিয়োগ হচ্ছে। এতে স্বল্প সময়ে যান্ত্রিক সরঞ্জামের অপারেটররা কর্মস্থলে যথাসময়ে উপস্থিত হতে পারেন।
বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামাল জানান, ওয়ান স্টপ সার্ভিসের কার্যক্রমের আওতায় বন্দরের কাছেই জনতা ব্যাংকে একটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এ বুথে নিয়মিত বন্দর মাশুল জমা হচ্ছে। এ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে আগে যেখানে বন্দর ব্যবহারকারীদের দুই ঘণ্টা সময় লাগত, এখন সেটা ২০ মিনিটেই সম্ভব হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, মোংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সেবা সহজ করতে এ সার্ভিস কার্যক্রমকে আরও আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তিনির্ভর করা হবে।
জানতে চাইলে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, বন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আমদানি-রপ্তানিকারক ও ব্যবহারকারীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করতে কয়েকটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ওয়ান স্টপ সার্ভিস কার্যক্রমের মাধ্যমে বন্দর ব্যবহারকারীরা সব ধরনের সুবিধা পাচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ ও ২০৪১-এর অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মোংলা বন্দর সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।