বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল বলেছেন, বরিশালের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এই মুহূর্তে বিজিবি নামানোর কোনো প্রয়োজন নেই। তবে যদি প্রয়োজন হয় এর জন্য বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে।
শুক্রবার বরিশাল নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে জনজীবন স্বাভাবিক পরিলক্ষিত হয়েছে। এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থানে রয়েছে পুলিশ, পাশাপাশি টহল দিচ্ছে র্যাব।
বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের ইউএনও এর বাসভবনে হামলা ও পরে আনসারদের ছোড়া গুলিতে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মী আহত এবং পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বরিশালে। তবে যান চলাচল ও জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিন) আলী আরশাদ বলেন, জনগনের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মামলায় বাকি যে আসামিরা রয়েছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে এই ঘটনায় পৃথক মামলায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া রাতভর নগরীর বিভিন্ন স্থানে মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পুলিশ এবং ইউএন মুনিবুর রহমানের দায়ের করা দুটি মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এছাড়াও আসামি রয়েছে ৬০১ জন।
অপরদিকে মেয়রের উপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া বাবুগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।