বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে। একটি মামলার বাদী ইউএনও নিজে, অপরটির বাদী পুলিশ।
বরিশালে ইউএনও বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে আলাদা দুটি মামলা হয়। নগরীর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, ইউএনওর বাসায় হামলার ঘটনায় নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকশোজনকে আসামি করে আলাদা দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। একটি মামলার বাদী হয়েছেন ইউএনও মুনিবুর রহমান নিজে। অপরটির বাদী পুলিশ। এই মামলায় ইতোমধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে ফিরোজ, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি অলিউল্লাহ অলিও রয়েছেন। এছাড়া রাতে ঘটনাস্থল থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বাবুকে আটক করা হয়, তাকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার বিষয়ে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজালুল করীম বলেন, পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দল এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কিন্তু সেটি না মেনে ইউএনওর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন সিটি করপোরেশনের কর্মী এবং আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে তারা ইউএনওর বাসভবনে হামলা চালান। এ সময় ইউএনওর নিরাপত্তায় আনসার সদস্যরা গুলি চালালে বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে পুলিশের সঙ্গেও হামলাকারীদের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন।
এদিকে বরিশালে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ১০ প্লাটুন বিজিবি চেয়েছেন জেলা প্রশাসক। এ ছাড়া ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
তিনি বলেন, খুব দ্রুত বরিশালে বিজিবি আসবে এবং তাদের মোতায়েন করা হবে। আশপাশের জেলা থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এরা সকলেই উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়োজিত হবেন।