নানান সময়ে সামাজিক কর্মকাণ্ড ও নানান বিষয়ে আইনি লড়াইয়ের জন্য আলোচিত ব্যাক্তি যুবলীগের আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ ছায়েদুল হক সুমনকে সংগঠনটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোশাল মিডিয়ায় বরাবারই আলোচনায় আসা এই আইনজীবীকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
তিনি বলেন, জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে কটাক্ষ করায় ও সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি দলীয় কর্মসূচিতে স্লোগান দিয়েছিলেন সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন। ‘শুভ শুভ দিন শেখ কামালের জন্মদিন, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, এমন স্লোগানের ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। প্রকাশ্যে রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে স্লোগান দেওয়ায় সরকারি বিধিমালা ১৯৭৯ লঙ্ঘন করেছেন-এমন কথাও বলেন কেউ কেউ। ব্যরিস্টার সুমন এই ঘটনার সমালোচনা করেন। যে কারণে তাকে যুবলীগের পদ থেকে অব্যাহতি পেতে হলো।
গত ৬ আগস্ট ফেসবুকে লাইভে এসে ওসির এই স্লোগানের নিন্দা জানান ব্যরিস্টার সুমন। আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক স্লোগান ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা ওসি আক্তার হোসেনের তীব্র সমালোচনা করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
ফেসবুক লাইভে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘শেখ কামাল সাহেবের জন্মদিনে শরীয়তপুরের পালং থানার ওসি আক্তার হোসেনের আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগান দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই জিনিসটা দেখার পর আমার কাছে মনে হয়েছে দু-একটা কথা বলা দরকার। আওয়ামী লীগের স্লোগান দেওয়ার মানুষ কী এতই কম যে, একজন ওসি সাহেবের এই স্লোগান দিতে হবে। আমি খেয়াল করে দেখলাম যে, উনি বলছেন আবেগ থেকেই স্লোগান দিয়েছেন।’
সুমন আরও বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে, আপনি যখন সরকারি দায়িত্বে থাকবেন কিংবা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন, তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে আবেগ দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে পানিশমেন্ট নিয়ে আসা উচিত। কিন্তু তিনি এখনো ওই জায়গাতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন।’
এর আগেও ব্যারিস্টার সুমনকে শোকজ করা হয়েছিল। তবে সেই শোকজের ‘সঠিক’ জবাব তিনি দিতে পারেননি বলে যুবলীগ থেকে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর ঘোষণা করা যুবলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জায়গা পেয়েছিলেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর সুমন।