শামীম আহমেদ ॥ বরিশাল বিভাগে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনায় আক্রান্তে সংখ্যা, ভাঙ্গছে একের পর এক পেছনের রেকর্ড।করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা এ যাবৎকালেরও সর্বোচ্চ। আর এই সময়ে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে নতুন করে ৭১০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮৪। আর সর্বশেষ আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২২হাজার ১০৯ জন।
এছাড়া একই সময়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া গেলো ২৪ ঘন্টায় বিভাগের মধ্যে পটুয়াখালীতে ১ জন, পিরোজপুরে ২ জন, বরগুনায় ১ জন ও ঝালকাঠিতে ১ জনসহ মোট ৫ জন করোনা রোগীর মৃত্যু শনাক্ত হয়েছে। যা নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত ২২ হাজার ১০৯ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৬৪ জন।
আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ২১১ জন নিয়ে মোট ৯ হাজার ৩৯৬ জন,পটুয়াখালী জেলায় নতুন ৫৭ জন নিয়ে মোট ২৮৪৩ জন, ভোলা জেলায় নতুন ৩৫ জন সহ মোট ২২৫৬ জন,
পিরোজপুর জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ১৬০ জন নিয়ে মোট ৩১০৩ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ৫৭ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত ১৮৩৭ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ১৯০ জন শনাক্ত নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬৭৪ জন।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
যা নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২২৯ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৫৯৬ জনের মধ্যে ৩০ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি।
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ৪ জন ভর্তি হয়েছেন।
করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২৯৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন। যাদের মধ্যে ৬৮ জনের করোনা পজিটিভ এবং ২৩০ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। যারমধ্যে ৬২.২৩ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।