রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংসদ সচিবালয় কোয়ার্টার থেকে নিবেদিতা রোয়াজা ওরফে নুসরাত জাহানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্বামী মো. মিল্লাত মামুনকে (২৭) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর কল্যাণপুর বাস কাউন্টারের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত শনিবার (১২ জুন) বিকেলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে প্রতিবেশীদের ফোন পাওয়ার পর বাসার দরজা ভেঙে নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার পরদিন রোববার নিহতের বাবা রত্ন কান্তি রোয়াজা বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন। মামলা নম্বর-১২।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাতে র্যাব-২-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. ফজলুল হকএ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় দেশব্যাপী বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র্যাব-২ এ বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরধারী বৃদ্ধি করে।
গ্রেফতার মো. মিল্লাত মামুন ২০১৯-এর বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দিয়ে নুসরাত জাহানকে প্রতারণার মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলায় নুসরাতের বাবা রত্ন কান্তি রোয়াজা উল্লেখ করেন, ‘বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দিয়ে আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে মামুন। পরে ধর্মান্তরিত করে আমার মেয়েকে বিয়ে করে সে। বিয়ের কিছুদিন পর মেয়ে তাকে শারীরিক নির্যাতনের কথা জানায়। সে আরও জানায়, তার স্বামী জুয়ার নেশা ও পরকীয়ায় আসক্ত ছিল। ঘটনার দিন সকাল ১০টায় আমাকে ফোন করে মেয়ে জানায়, তার স্বামী তাকে শারীরিক নির্যাতন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলেছে এবং হত্যার হুমকি দিয়েছে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ ফোন করে মেয়ের আত্মহত্যার খবর জানায়।’