বরিশাল জেলা পুলিশের মাদক বিরোধী কার্যক্রমে গতিশীলতা ফিরে আসায় এক মাসে জেলার দশ থানায় প্রায় সহস্রাধিক মাদক বিক্রেতা, সেবী ও গডফাদার আত্মসমর্পণ করেছেন। তারা লিখিত মুচলেকা দিয়ে মাদক ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। তবে যাদের বিরুদ্ধে পূর্বে মামলা রয়েছে তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে মামলা পরিচালনা করবেন। পুলিশের পক্ষ থেকে সমাজের ঘৃণিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত মাদক বিক্রেতা, সেবী ও গডফাদারের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়ায় সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার এস এম আকতারুজ্জামান গত জানুয়ারী মাসে বরিশাল জেলাকে মাদকমুক্ত করতে বিশেষ উদ্যেগ গ্রহন করেন।তিনি তার আওতাধীন এলাকায় ব্যাপক প্রচরনা ও পোষ্টারিং চালান।প্রত্যেক থানার ওসিদের টিমলিডার করে থানা এলাকসমুহতে এ কার্যক্রম চলমান রাখেন।এতে ব্যাপক সফলতাও আসে।গত এক মাসে উজিরপুর, বাবুগঞ্জ, মুলাদী, আগৈলঝাড়া, গৌরনদী, বাকেরগঞ্জসহ অন্যান্য থানায় সহস্রাধিক মাদক বিক্রেতা, সেবী ও গডফাদার আত্মসমর্পণের পর লিখিত মুচলেকা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করায় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ন কবির বলেন,মাদক দূর করতে পারলে বেশিরভাগ অপরাধ প্রবনতা কমিয়ে আনা সম্ভব।আমাদের সুযোগ্য পুলিশ সুপার যে মাদক বিরোধী কার্যক্রম শুরু করেছেন এতে শীঘ্রই মাদক ব্যবসায়ী, সেবীসহ সকল সামাজিক অপরাধীরা সমাজের স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরে আসবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।