শামীম আহমেদ ॥ মহামারি করোনার সংক্রমনের কারণে এবারেও বরিশালে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত বাতিল করে জেলা প্রশাসকের কমপাউন্ডের কালেক্টরেট মসজিদে প্রধান ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অপর দিকে কালেক্টরেট মসজিদ সহ বরিশাল নগরের মসজিদগুলোতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২ থেকে ৩টি করে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ইমাম সমিতির বরিশাল মহানগর শাখার সভাপতি আলহাজ মাওলানা কাজী আবদুল মান্নান।
তিনি বলেন, বরিশাল নগরের ৫ শত মসজিদ আছে, যার প্রতিটিতেই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাগেছে, বরিশাল নগরের কালক্টরের জামে মসজিদে সকাল ৮টা, ৯টা ও ১০টায়, চকবাজার জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে সকাল ৮টা, ৯টা ও ১০টায়, হেমায়েত উদ্দিন রোডের জামে কসাই মসজিদে সকাল ৯টায় ও ১০টায়, সদর রোডের বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে সকাল ৯টা ও ১০টায়, ল’ কলেজ জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ও ৯টায়, পুলিশ লাইনস জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা ও সাড়ে ৯টায়, নূরিয়া স্কুল জামে মসজিদে সাড়ে ৭টা ও সাড়ে ৮টা এবং জেলখানা মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কালেক্টরেট মসজিদে সকাল ৮টার জামাতে বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত সচিব), মোঃ সাইফুল ইসলাম বাদল ও জেলা প্রশাসক মো জসীম উদ্দীন হায়দার সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঈদ জামাত আদায় করেন। বরিশালে ঈদের সর্ববৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরীফ মাঠে সকাল ৯টায়। পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম জামাতে ইমামতিত্ব করেন। বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় পিরোজপুরের নেছারাবাদের ছারছিনা দরবার শরীফ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়।
এছাড়া সকাল সাড়ে ৮ টায় ঝালকাঠীর কায়েদ সাহেব হুজুর প্রতিষ্ঠিত এনএস কামিল মাদ্রাসা মাঠে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপরদিকে পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা (রা.) দরবার শরীফে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের জামাত। বরিশালের উজিরপুরের গুঠিয়ার বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্স ও ঈদগাহ ময়দানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত সকাল ৮টায়।
নামাজ শেষে অতিরিক্ত সচিব বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল ইসলাম বাদল বলেন, আমাদের সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এই করোনাকালীন সময়ে নিজেদেরকে সু-রক্ষার পাশাপাশি পরিবার সদস্য সহ সকল নাগরীকদের রক্ষার করার দায়ীত্ব আমাদের সকলের তাই সকলকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য তিনি আহবান জানান।
এসময় জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দনীন হায়দার বলেন, আমরা গণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নগরীর সকল বিনোধন কেন্দ্রগুলো পরবর্তি আদেশ না দেয়া পর্যন্ত সব কিছু বন্ধ থাকবে।
এছাড়া বলেন আমরা কালেক্টরেট মসজিদে সকলেই স্বাস্থ্যবিধি ও দ;ুরুত্ব বজায় রেখে পবিত্র ঈদুল ফেতরের নামাজ আদায় করেছি। আপনারা সবাই জানেন আজ আমরা সহ বিশ্ব করোনা রোগে আক্রান্ত।
আমরা ভাগ্যবান এই করোনাকালীন সময়ের মধ্যে সুস্থভাবে ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরেছি এই আল্লাহ’র দরবারে শুকরিয় আদায় করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক সকল নাগরীকদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন এবারের এই মহামারির সময়ে আমরা যেন সকলেই ঘড়ে থেকে পারিবারিকভাবে নিজেদের রক্ষা করার জন্য ঈদ উদযাপন করি।