করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সুন্দরবনে আত্মসমর্পণকারী কর্মহীন জলদস্যুদের সাহায্যার্থে ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বরিশাল, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় আত্মসমর্পণ করা তিন শতাধিক জলদস্যুর মাঝে ঈদ শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (৯ মে) র্যাবের মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের মাঝে ঈদের শুভেচ্ছা উপহার ও নগদ অর্থ প্রদান করেন র্যাব-৬ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রওশনুল ফিরোজ ও র্যাব-৮ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি জামিল হাসান।
এসময় র্যাব-৬ ও র্যাব-৮ এর অধিনায়ক আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কুশলাদি বিনিময় করেন। তাদের সমস্যার কথা শোনেন এবং সমস্যা সমাধানের জন্য উপযুক্ত সহযোগিতা ও নির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে জলদস্যু মুক্ত ঘোষণা করেন। এখন সুন্দরবনে শান্তির সু-বাতাস বইছে। অপহরণ-হত্যা এখন তিরোহিত। জেলেদের কষ্টার্জিত উপার্জনের ভাগও কাউকে দিতে হচ্ছে না। সুন্দরবনে মাওয়ালী, বাওয়ালী, বনজীবী, বন্যপ্রাণী এখন সবাই নিরাপদ বিশেষ করে মৎসজীবীরা। নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে আসছেন দর্শনার্থী পর্যবেক্ষক এবং জাহাজ বণিকেরা।
এভাবেই সরকারের দূরদর্শিতায় সুন্দরবনকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক গতিশীলতার ব্যাপক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। মূলত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব, দিক নির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান এবং র্যাবের সক্রিয় অংশগ্রহণে সুন্দরবন এখন জলদস্যু মুক্ত।
বর্তমানে আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা পুনর্বাসিত হয়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণকারী সব জলদস্যু ও বনদস্যুদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ অপরাধের (হত্যা ও ধর্ষণ) মামলা ব্যতীত অন্যান্য সব সাধারণ মামলা সহানুভূতি সহকারে বিবেচনার বিষয়টি চলমান রয়েছে।