দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষক নিয়োগের অনলাইন আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল)।
রাত ১২টায় আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদের বিপরীতে মোট আবেদন পড়েছে প্রায় এক কোটি। সে হিসেবে শিক্ষক পদে নিয়োগে সুপারিশ পেতে প্রতিটি পদে আবেদন পড়েছে দেড়’শর বেশি।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশ ৮১ লাখ ১৬ হাজার নিবন্ধিত চাকরিপ্রত্যাশীর আবেদন জমা হয়েছে। এর আগে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এতো আবেদন জমা পড়েনি। যা রেকর্ড বলা যায়।
এই আবেদনের মধ্যে অনেকে নিয়োগ নিশ্চিত করতে ৫০০টি পর্যন্ত আবেদন করেছেন। প্রতিটি আবেদন বাবদ ১০০ টাকা করে মোট ৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা আয় করেছে এনটিআরসিএ।
শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ৩০ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আর আবেদন নেয়া শুরু ৪ এপ্রিল থেকে। চলে ৩০ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত। তবে প্রার্থীরা আগামী ৩ মে পর্যন্ত আবেদনের টাকা জমা দিতে পারবেন।
প্রত্যেকটি আবেদনের বিপরীতে এক’শ টাকা করে নেয়ায় প্রায় ৮ কোটি টাকা বেশি আয় হয়েছে এনটিআরসিএর। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিজন প্রার্থী একাধিক আবেদন করার সুযোগ পেয়েছেন। আর মে মাসেই ৫৪ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া শেষ করার পরিকল্পনা করেছে এনটিআরসিএ।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, আবেদনের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করতে পেরেছি এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ। চলতি মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। পরিকল্পনা অনুসারে আমাদের নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া করতে ২৫-২৬ দিনের মতো সময় লাগবে। এ সময়ের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া করে প্রার্থীদের শূন্যপদগুলোতে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করতে চাই।
আবেদন সংখ্যা কেন বেশি জানতে চাইলে এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা বলেন, ২০১৮ সালের ১২ জুন এমপিও নীতিমালা জারির আগে সনদ অর্জন করা প্রার্থীরা যাদের বয়স ৩৫-এর বেশি হয়ে গেছে তারাও আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত নিবন্ধন সনদধারী ও ইনডেক্সধারী শিক্ষকরাও নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পেরেছেন। তাই এতো আবেদন জমা পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের বিপরীতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি শূন্যপদ। এগুলোর মধ্যে ২৬ হাজার ৮৩৮টি এমপিও পদ। আবার মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের সংখ্যা ২০ হাজার ৯৯৬টি। এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিও পদ রয়েছে।