হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মূল সড়কের বিপরীত দিকে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের চেকপোস্টের সামনে শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি আত্মঘাতী নয়; এমন দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি জানিয়েছেন, অতিসতর্কতা অবলম্বন করতে গিয়ে নিজের শরীরে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় নিহত যুবক, যার আনুমানিক বয়স ৩০-৩২ বছর। এক সপ্তাহ আগে রাজধানীর আশকোনায় র্যাবের নির্মাণাধীন কার্যালয়ে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা আর শুক্রবার বিমানবন্দর মূল সড়কের ঘটনাটি এক নয়।
রাজধানীর বিমানবন্দরের মূল সড়কের বিপরীত দিকে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের চেকপোস্টের বেশ কিছুটা সামনে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে শুক্রবার রাতে এ সব কথা বলেন ডিএমপির কমিশনার।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘নিহত যুবকের হাতে একটি ট্রলি ছিল। সে ট্রলি নিয়ে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে আসছিল। সামনে পুলিশের চেকপোস্ট দেখে অতিসাবধানতা অবলম্বন করতে গিয়ে হয়তো তার দেহে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তার পেটের নাড়ি-ভূঁড়ি বের হয়ে যায়। তার পরনে জিন্স ও শার্ট ছিল। তার সঙ্গে থাকা ট্রলি ব্যাগটি স্ক্যান করে দেখা হচ্ছে যে সেখানে কি আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে (যুবকটি) বোমা বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। চেকপোস্ট এড়াতে গিয়ে অতিসতর্কতা অবলম্বন করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এটা কোনো আত্মঘাতী হামলা নয়। কারণ, চেকপোস্টে ৮ থেকে ১০ জন পুলিশ সদস্য ছিল। ওই স্থানটিও ফাঁকা ছিল। এটি যদি আত্মঘাতী হামলা হতো তাহলে সরাসরি ওই যুবক পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা করতে পারত।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ বা সাধারণ মানুষ কেউই আহত হয়নি। সকলেই নিরাপদ রয়েছে। র্যাবের ঘটনা (আশকোনায় আত্মঘাতী হামলা) ও এই ঘটনা এক নয়। তারপরও আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। নিহত যুবক হয়তো বোমা কাউকে ডেলিভারি করতে যাচ্ছিল। যেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তার স্থান থেকে একটু এগুলেই পুলিশ সদস্যরা ছিল। কিন্তু সে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা করেনি, বরং অসাবধানতাবশত তার দেহের বোমা বিস্ফোরিত হয়।’
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত নজরদারি রয়েছে, এ ঘটনায় জনসাধারণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন ডিএমপি কমিশনার।