পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী একই পরিবারের ৩ সদ্যসকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টায় নিজ হাওলাদার বাড়ীর ভিতরে বসে এ হামলা চালানো হয়।
আহতরা হলো ওই থানার গোলখালী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ খলিলুর রহমানের ছেলে রায়হান হাওলাদার(২৫),মা আম্বিয়া (৬৫), পুত্রের বউ জেসমিন(৩৫)। আহতরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
আহতের স্বজনরা জানান, আমরা একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ শহিদুলের কাছ থেকে ৭ মাস পূর্বে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে শান্তি পূর্নভাবে ভোগ দখলে আসছি।
কয়েক দিন যাবত্ আমাদের ক্রয় করা সম্পত্তি জোরপূ্বক ভাবে ভোগ দখলের চেষ্টা চালায় একই গ্রামের বাসন্দা মোহাম্মদ রাজ এর ছেলে কালাম রাজ ও সালাম রাজের গংরা ।
এনিয়ে উভয়ের মাঝে দন্দবিরাজমান ছিল । ঘটনার দিন কালাম,সালাম এর সন্ত্রাসী বাহিনীরা জোর পূর্বক সেই জমি ভোগ দখলের চেষ্টা চালালে রায়হান বাধা দেয়।
সন্ত্রাসী কালাম ও সালাম ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের নেতৃত্বে নাজেম, নুর ইসলাম, কাছেম, আউয়াল, কবির, আলম সহ ৮/৯ জন সন্ত্রাসীরা দেশীও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রায়হানের উপরে হামলা চালায়।
তার ডাক চিৎকার শুনে বাচাঁতে আম্বিয়া ও জেসমিন ছুটে আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।
পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্বার করে শেবাচিমে প্রেরন করেন । বর্তমানে তারা এ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের কর্মরত চিকিৎসকরা জানান মির্জাগঞ্জ থেকে তিন জন রুগি আশঙ্কাজনক অবস্থায় সার্জারি বিভাগে ভর্তি হয়েছে।
তাদের মাথায় ও শরীলে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ।
এনিয়ে আহত রায়হান আরো বলেন, ওই সন্ত্রাসীরা আমাদের মেরে ফেলতে চেয়েছিল। এরা এলাকায় ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী। বর্তমানে তারা হত্যাসহ লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে আসছে। এ নিয়ে আমি ও আমার পরিবার প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুকির মধ্যে দিন কাটাছি।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলেও আহতের স্বজনেরা সাংবাদিকদের আরো জানান।