বরিশালের বাকেরগঞ্জে সৌদি প্রবাসী আব্দুর রহিম খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি জামাল হাওলাদারকে তিন বছর পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর জামাল হাওলাদার আব্দুর রহিম খানকে হত্যার কথা স্বীকার করে আজ শনিবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
শনিবার দুপুরে বরিশাল নগরীর রূপাতলী সিআইডি অফিসে মামলার প্রধান আসামি জামাল হাওলাদারকে নিয়ে আসা হয়। এ সময় সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মো. হাতেম আলী জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে জামাল হাওলাদারকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেই প্রবাসী আব্দুর রহিম খানকে ইলেকট্রিক কাজে ব্যবহৃত ‘প্লাস’ দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। শনিবার বরিশাল আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
পুলিশ সুপার মো. হাতেম আলী আরও জানান, বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের কাকরধা এলাকার বাড়িতে নতুন ভবনে ইলেকট্রিক ওয়্যারিং কাজের জন্য জামাল হাওলাদারের সঙ্গে চুক্তি হয় আব্দুর রহিম খানের। এ জন্য তাকে অগ্রিম ১১ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ অসম্পন্ন রেখে চলে যায় জামাল।
২০১৮ সালের ২২ মে ওই এলাকার কাকরধা বাজারে জামাল মিস্ত্রির সঙ্গে প্রবাসী রহিমের দেখা হয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জামাল তার হাতে থাকা ইলেকট্রিক কাজে ব্যবহৃত ‘প্লাস’ দিয়ে রহিমের মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় রহিমের ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ১ জুন বাকেরগঞ্জ থানায় ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। প্রায় তিন বছর পলাতক থাকার পর অভিযুক্ত জামাল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার তাকে আদালতে নেওয়া হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।