গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে নিয়েছে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিকেলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ওয়েবসাইটে এটি যুক্ত করা হয়।
‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’-এর আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ শিল্পকর্মটি বানানো হয়। ১০০ বিঘা ধানক্ষেতে পুরো আয়তনজুড়ে এই ক্যানভাস।
আয়োজকরা বলেন, ড্রোন ব্যবহার করে ম্যাপ করে স্কেচ তৈরির পর টানা দেড় মাস ধরে চলছে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ। আশপাশের অর্ধশতাধিক কিষান-কিষাণি, ১০০ রোভার স্কাউট সদস্য এই কর্মযজ্ঞে যোগ দেন। যাদের নেতৃত্ব দেন আটজন কৃষি প্রকৌশলী ও কৃষি কর্মকর্তারা। এছাড়া এতে কাজ করেছে শস্যে কীটতত্ত্ব-রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর সদস্যসহ আরও অনেকে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এই উদ্যোগ গ্রহণ করে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’। এটি বাস্তবায়ন করেছে ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ার নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
৪০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩০০ মিটার প্রস্থের ক্যানভাসে দুই রঙের ধানের চারা লাগানো হয়। এর মধ্যে সবুজ রঙের চারার ধানের নাম ‘জনকরাজ’। সবুজের ভেতরে ভিন্ন রঙ ফুটিয়ে তুলতে চীন থেকে আনা হয় হাইব্রিড জাতের এফ-১ ধান।
জানা গেছে, ক্রপ আর্টে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তৈরির মাধ্যমে গিনেস রেকর্ড গড়ার এই শস্য চিত্রের একটি অন্যতম উদ্দেশ ছিল। ক্রপ ফিল্ড মোজাইক বা শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর এতোবড় প্রতিকৃতি বিশ্বে এটাই প্রথম।
এর আগে চীনে ১৯১৯ সালে ৭৯ হাজার ৫০৫ দশমিক ১৯ বর্গমিটার আয়তনের জমিতে চার রঙের ধানের চারায় কাউ ফিসের ছবি ফুটিয়ে তুলে সাংহাইয়ের লেজিদাও টুরিজম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড। সেটা ভেঙে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু এখন নতুন রেকর্ড গড়ল।