আদেশ বাস্তবায়ন না করায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীকে শোকজ করেছে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ ট্রাইব্যুনাল আদালত। আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেন সরকার পক্ষের পিপি মীর রফিকুল ইসলাম আজম ও অপরপক্ষের আইনজীবী মুহা. মাহবুব আলম কবির।
বুধবার অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. সাইফুল আলম এ কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
অর্পিত সম্পত্তির তালিকা হতে অবমুক্তকরণের মামলা ও রায়ের ডিক্রি অনুযায়ী আদেশ কার্যকর করাসহ সম্পত্তির রেকর্ড না করে দেয়ায় জনৈক আবদুর রাজ্জাকের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে এই আদেশ দেন বিচারক।
শোকজ নোটিশে কেন জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হবে না সেই মর্মে বিজ্ঞ পিপি কৌশলীর মাধ্যমে আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে লিখিত ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে বলে আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে।
ঝালকাঠি অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনাল আদালতের আইনজীবী মুহা. মাহবুব আলম কবির জানান, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ অতিরিক্ত ট্রাইব্যুনাল গত ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাদী পক্ষ আবদুর রাজ্জাক গংকে ৫ একর ৩৮ শতাংশ সম্পত্তি অবমুক্ত করে দেয়ার রায় প্রাপ্ত প্রদান করেন। রায়ের ডিক্রি অনুযায়ী বাদী পক্ষ ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর ও ২ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক বরাবর বিজ্ঞ ট্রাব্যুনালের রায় বাস্তবায়নের জন্য দুই দফা আবেদন করেন।
তবে রহস্যজনক কারণে প্রতিপক্ষ ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক আদালতের রায় যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। ফলে সংক্ষুদ্ধ হয়ে বাদীপক্ষ বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল বরাবর অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ২০০১ এর ৩২ (গ) ধারা মোতাবেক জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পৃথক এক আবেদন করেন।
এ্যাড মুহা. মাহবুব আলম কবির আরও জানান, এ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে যদি আপীল ট্রাইব্যুনালের কোন নির্দেশ বা ডিক্রি বাস্তবায়নে প্রদত্ত নির্দেশ জেলা প্রশাসক লংঘন করেন তবে তিনি অনধিক সাত বছর কারাদণ্ড বা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।
মামলায় আদালতে বাদীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মুহা. মাহবুব আলম কবীর ও সরকার পক্ষে পিপি কৌশলী ছিলেন মীর রফিকুল ইসলাম আজম।
এ বিষয় জেলা প্রশাসক মো :জোহর আলী কোন বক্তব্য না দিলেও সরকারের পক্ষে নিয়োজিত পিপি কৌশলী জিপি এড. মীর রফিকুল ইসলাম আজম বলেন, জেলা প্রশাসক আদালতের রায় বাস্তবায়নে একান্ত অনুগত।