শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না, এমন নিশ্চয়তায় আন্দোলনের সমাপ্তি টানলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে বুধবার বেলা ৩টার দিকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে স্থানীয় প্রশাসন, বাস মালিক সমিতি, পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও নগরীর রূপাতলী হাউজিং সোসাইটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা ওই বৈঠক চলে।
বৈঠকে উপাচার্য ছাদেকুল আরেফিন, প্রক্টর সুব্রত কুমার দাস, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোকতার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রশান্ত কুমার রায়, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান, বরিশাল পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মমিন উদ্দিন কালু, বরিশাল জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, রূপাতলী হাউজিং এলাকার বাড়ির মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেনসহ উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকে।
সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীদের পক্ষে ফজলুল হক রাজীব লিখিত বক্তব্য পড়েন।
তিনি বলেন, ‘১৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে আমাদের ওপর হামলার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদেরসহ ওই ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
‘ওই দিনের ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এমন সংঘাত আর হবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছে বাসমালিক সমিতি, পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও স্থানীয় বাড়ির মালিকদের প্রতিনিধিরা।
বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মমিনউদ্দিন কালু বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক। কিন্তু এই হামলার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তরা পরিবহন মালিক বা শ্রমিকদের কেউ না। আমরা শিক্ষার্থীদের নিশ্চয়তা দিয়েছি যে ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।
রূপাতলী হাউজিং সোসাইটির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, ‘সেদিনের ন্যক্কারজনক ঘটনায় আমরাও দুঃখ প্রকাশ করছি। এ ছাড়া দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এখন থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় আমরাও ভূমিকা রাখব বলে নিশ্চয়তা দিয়েছি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মোকতার হোসেন বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদেরও তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান। এ ছাড়া রূপাতলী এলাকায় পুলিশ টহল টিম ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ‘বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই দাবি আসে।
সেই দাবি অনুযায়ী আমরা আজ বৈঠকে বসি। সেখানে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবির ব্যাপারে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে বলে জানিয়েছেন।