কুয়েতে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান শেষে মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দেশে ফিরেছে সেনাবাহিনীর ১০০ সদস্যের (৩০ জন ডাক্তার এবং ৭০ জন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট) একটি বিশেষায়িত মেডিকেল টিম। তারা দীর্ঘ ১০ মাস কুয়েতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন।
কুয়েত সরকারের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ জরুরি ভিত্তিতে এই বিশেষায়িত মেডিকেল টিম গত বছরের ১০ এপ্রিল এবং ১২ এপ্রিল দেশটিতে পাঠান। কুয়েতে অবস্থানকালে মেডিকেল টিমটি সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় ৭ হাজার জন করোনা পজিটিভ রোগীর সরাসরি চিকিৎসা সেবা দেন।
কুয়েতের আমির, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীসহ দেশটির জনসাধারণ বিশেষায়িত এই মেডিকেল টিমের দৃষ্টান্তমূলক অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। কুয়েতে থাকাকালে বিশেষায়িত মেডিকেল টিমটি প্রধানত কুয়েতের সর্ববৃহৎ করোনা হাসপাতাল (কুয়েত ফিল্ড হাসপাতাল, মিশরেফ), অন্যান্য ফিল্ড হাসপাতাল (ফারওয়ানিয়া, মাহবুলা ও জিলিব আল সোয়াইথ হাসপাতাল) এবং সামরিক হাসপাতালের বিভিন্ন কোভিড আইসিইউ, মেডিসিন ওয়ার্ড, ইমারজেন্সি ওয়ার্ড ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিল। এর পাশাপাশি বিশেষায়িত এই টিম কুয়েতে মোতায়েনরত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরও চিকিৎসা সেবা দেয়।
উল্লেখ্য, দায়িত্ব পালনকালে টিমের ১৪ জন সদস্য করোনা রোগে আক্রান্ত হন ও পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে পুনরায় চিকিৎসা সেবায় যোগ দেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৯৯১ সাল থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত কুয়েতের পুনর্গঠনের জন্য দুটি বিশেষায়িত ইঞ্জিনিয়ার কন্টিনজেন্ট নিয়ে কুয়েতে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে সর্বমোট ১১টি কন্টিনজেন্টের ৫ হাজার ২৫৪ জন সদস্য কুয়েত পুনর্গঠনের কাজে সেখানে মোতায়েন রয়েছেন।